ঢাকা অফিস: বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে দেশের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের আওতার বাইরে থাকবে এমনটি জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আর এই সাড়ে ৫ কোটির বাইরে দেশের বাকি জনগণের জন্য এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা যাবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। জাতিসংঘের দেওয়া ৫ কোটি ভ্যাকসিনের পাশাপাশি বাকি তিন কোটি অক্সফোর্ডের কাছ থেকে কেনা যাবে বলে জানান জাহিদ মালেক। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে স্থাপিত দুটি ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে প্রতিমাসে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন অনুদান দেবে জাতিসংঘ। সেই হিসেবে জুনের মধ্যেই বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত জাতিসংঘের ৫ কোটি অনুদানের ভ্যাকসিন দেশে পৌছে যাবে। আর অক্সফোর্ডে কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনতে সেরাম ইনিস্টিটিউটের সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বের ৯২ দেশকে করোনার ভ্যাকসিন অনুদান হিসেবে দেবে জাতিসংঘ। এক্ষেত্রে বিশ্ব সংস্থাটি অনুদান পাওয়া দেশগুলোর জনসংখ্যার ২০ শতাংশ করে করোনা টিকা নির্ধারণ করেছে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘের কাছ থেকে ৫ কোটি টিকা পাবে বলে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের আরো জানান, বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় প্রায় বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ থাকবে করোনা ভ্যাকসিনের আওতার বাইরে। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশী ও গর্ভবতী নারীরও অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন। আর দেশের হাতে থাকা ৮ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর বাকিদের ধীরে ধীরে টিকার আওতায় আনা কঠিন কিছু হবে না বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ১৮ বছরের নীচে যারা তার এর আওতায় আসবে না। বাদ যাবেন গর্ভবতী মায়েরা। তাছাড়া প্রায় এক কোটি মানুষ দেশের বাইরে রয়েছেন আর শারীরিক নানা জটিলতার কারণে অনেকেই নিতে পারবেন না করোনা ভ্যাকসিন। মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বছর (২০২১) জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ অথবা ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহে জাতিসংঘের দেওয়া অনুদানের ৫০ লাখ ভ্যাকসিনের প্রথম চালান দেশে আসবে। এরপর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে বাকি ভ্যাকসিন জুন মাসের মধ্যেই বাংলাদেশের হাতে পৌছাবে। মন্ত্রী জানান, এরই মধ্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও সরবারহের জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যারা প্রয়োগের জন্য নিযুক্ত থাকবেন তাদেরও বিশেষ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।এসময় মন্ত্রী ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে স্থাপিত দুটি ভ্যাকসিন ল্যাব সম্পর্কে বলেন, আমরা যেসব ভ্যাকসিন পাবো সেগুলো আগে এই দুটো ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। এরপরই তা জনগণকে প্রয়োগ করা হবে।
দেশের সাড়ে ৫ কোটি মানুষ ভ্যাকসিনের আওতার বাইরে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
0
Share.