ঢাকা অফিস: নির্দিষ্ট টিকার প্রতি নির্ভরশীলতায় দেশে টিকাদান কার্যক্রমের লেজে-গোবরে অবস্থা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও শিগগিরই এই সংকট কাটিয়ে ওঠার পথও দেখছেন তারা। সেক্ষেত্রে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা যাচাই, কাঁচামালের সহজলভ্যতা বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।এদিকে, চীনের যে ভ্যাকসিন এসেছে সেটির প্রথম ডোজ আগামী ২৫ মে থেকে দেয়া শুরু হবে। এছাড়া রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে ভ্যাকসিনের জন্য। ফাইনাল কিছু হলে জানতে পারবেন সাংবাদিকদের বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।সোমবার (১৭ মে) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।এছাড়াও দ্বিতীয় ডোজের জন্য ভারত ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেষ্টা করেছেন। ভারতের কাছে অর্ডার আছে ৩ কোটি, পেয়েছি ৭০ লাখ। দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে আমরা চিন্তিত বলেও জানান তিনি।দেশের ভ্যাকসিন কার্যক্রম ছিল ঈর্ষাণীয়, তিন মাস বাদে অনেকটাই বেসামাল। হাতে আছে অক্সফোডের কয়েক লাখ ডোজ, চীন থেকে আসা সিনোফার্মের মজুদ ৫ লাখ। এছাড়া স্পুটনিক ভি আর ফাইজারে টিকা আসার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। যদিও সেটি কী পরিমাণ মিলবে সেটিও অনিশ্চিত। সবচেয়ে বড় চিন্তা অক্সফোর্ডের টিকার অনিশ্চিয়তা।পুরো বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হলেও হতাশ বিশেষজ্ঞরা। যদিও একেবারে নিরাশও নন তারা।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকতা জানান, হাতে আছে ছয় লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার, ৫ লাখ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন আছে আর দেশের ভূখণ্ডে এক লাখ ফাইজার আসবে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। এ রকম একটা অবস্থার আমাদের জন্য অবশ্যই ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম খুবই হতাশা। এ মূহূর্তে টিকা পেতে উৎপাদন বা রিফিল করার কথা ভাবছে ওষুধ প্রশাসন। একাধিক কোম্পানির এমন সক্ষমতা যাচাইয়ের কাজও চলছে। যদিও এখনও কাউকে সবুজ সংকেত দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত নিতে হলে ভাবতে হবে বার বার। প্রথমে যাচাই করতে হবে সক্ষমতা। এরপর দেখতে হবে উৎপাদন না রিফিল কোন প্রক্রিয়ার পাল্লা ভারী। দামের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার তাগিদ তাদের।এছাড়া তৃতীয় ধাপে আছে এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ট্রায়ালে অংশ নেয়ার পরামর্শ দেন তারা।
দেশে টিকাদান কার্যক্রম লেজে-গোবরে অবস্থা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
0
Share.