দেশে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা কত? জানুন কী বঞ্চনা তাদের

0

ঢাকা অফিস: দেশে ২ দশমিক ৮০ শতাংশ মানুষ শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধি। এই প্রতিবন্ধী মানুষদের মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বেশি। সরকারি সংজ্ঞা অনুযায়ী অন্তত একটি প্রতিবন্ধিতা রয়েছে ব্যক্তিকে প্রতিবন্ধী বলা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ন্যাশনাল সার্ভে অন পারসনস উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ (এনএসপিডি) শীর্ষক প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। দেশে ২০১১ সালে সর্বশেষ জনশুমারি করা হয়। সেই শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৯৮ লাখ। কিন্তু বিবিএসের তথ্য মতে প্রতি ১০ বছরে জনসংখ্যা গড়ে দুই কোটি বাড়ে। সেই বিবেচনায় দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা ১৭ কোটির কম বা বেশি হবে। এই জনসংখ্যা হিসাব করলে দেশে এখন প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৮ লাখ। বিবিএসের জরিপটিতে নমুনা হিসেবে সারাদেশের ৩৬ হাজার খানার তথ্য নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই তথ্য এবং প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি তৈরি করে বিবিএস। প্রতিবন্ধী জনসংখ্যার জরিপ দেশে এটিই প্রথম। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের মধ্যে প্রতিবন্ধিতা বেশি। মোট প্রতিবন্ধীর ২ দশমিক ৯২ শতাংশ গ্রাম বসবাস করে, ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ থাকে শহরে। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধীর হার সর্বোচ্চ বলে জরিপে দেখা গেছে। ২ দশমিক ৮০ শতাংশের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধীর হার ১ দশমিক ১৯ শতাংশ । অন্যান্য ধরনের প্রতিবন্ধীর মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ, বাকপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১৪ এবং শ্রবণপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ। প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মাত্র ২৭ দশমিক ২১ শতাংশ কাজে নিযুক্ত আছেন। এছাড়া সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য ও হয়রানির শিকার হন প্রতিবন্ধীরা। সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত। এমনকি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) বিভিন্ন কর্মসূচি থেকেও তারা সেবা পাননি। অনেকে বঞ্চনা ও হয়রানির অভিযোগ করেন না। যারা করেছেন, তারাও সুবিচার পাননি। প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধী শিশুদের লেখাপড়ার চিত্র তুলে ধরে বলা হয়েছে, এদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্তও পড়ালেখা করে না। আর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত যায়না ৭৫ শতাংশের বেশি।

 

Share.