ঢাকা অফিস: উখিয়া ও টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে দেড় শতাধিক অসুস্থ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় অবস্থান করছে বলে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ও টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অসুস্থ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া ও হোয়াইক্যং উলুবনিয়া এলাকার মসজিদে মসজিদে জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে মাইকিং করে স্থানীয়দের সতর্ক করা হয় বলে জানা গেছে।পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুলতান আহমদ জানান, রাতে সীমান্তে দায়িত্বরত থাকা একটি সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয় বেশ কিছু রোহিঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারে। এমন খবরে তার এলাকায় কয়েকটি মসজিদে মাইকিং করে সতর্ক করেছেন। একইভাবে পালংখালী খালের মুখের ওপারে টেকনাফের উলবনিয়া এলাকার মসজিদেও মাইকিং করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে (বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে) এলাকার কিছু মানুষজন নিয়ে সীমান্তের পাইশাখালী নামক চিংড়ি ঘের এলাকায় পাহারা বসিয়েছি। ওপারের প্যারাবনের ভেতরে বেশকিছু মানুষের গুঞ্জন ও কান্না শোনা যাচ্ছে। তবে আমরা এলাকাবাসী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এই করোনাভাইরাস সংকটময় মুহুর্তে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এমনও শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীও রয়েছেন। সীমান্তবর্তী পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কয়েকটি এলাকায় শতাধিক অসুস্থ রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ে সীমান্তের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে বিজিবির সাথে কথা বলা হয়েছে। তারা সর্তক অবস্থানে রয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি তৎপর রয়েছে। তবে অনুপ্রবেকারীদের মধ্যে অনেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানতে পেরেছি। চিকিৎসার জন্য তারা বাংলাদেশে ঢুকার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও শুনেছি। কক্সবাজার বিজিবি ৩৪ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাদের একটি দল বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়টি আমরা শুনেছি। আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। নতুন করে আর কোন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া যাবেনা। সীমিন্ত পাড়ি গুলোতে টহলরত বিজিবি সদস্যদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। যেন অনুপ্রবেশ না ঘটে। উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বানের স্রোতের মত ১১লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল। তারা এখন উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে।
দেড় শতাধিক অসুস্থ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তে অবস্থান
0
Share.