দ্রুত সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার চার্জশিট: র‌্যাব মুখপাত্র

0

ঢাকা অফিস: সাতক্ষীরা সীমান্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলার চার্জশিট দ্রূত আদালতে দাখিল করবে র‌্যাব। অস্ত্র মামলায় সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।একইদিন বিকালে র‌্যাব সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন এলিট ফোর্সটির মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সাহেদ করিমের ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। বিশেষ করে তার সঙ্গে অনেকের ছবি পাওয়া গেছে। এসব ছবিকে পুঁজি করে সকলের ফোকাস পাবার চেষ্টা করেছে। এছাড়া খুব দ্রুত অর্থশালী হবার জন্য বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিল। তদন্তে তার পৃষ্ঠপোষকদের নাম বেরিয়ে আসলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ কি পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করেছে জানতে চাইলে আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাহেদের কাছে যে অস্ত্র পাওয়া গেছে সে বিষয়ে অনেক তথ্য দিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সেটা প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে দ্রুতই আমরা তার অস্ত্র মামলার চার্জশিট আদালতে দেবো। সীমান্ত অতিক্রমের সময় যেকোন ধরণের ঝুঁকি মোকাবেলায় সে অস্ত্র সঙ্গে নিয়েছিল।”সাহেদের দেহরক্ষীদের কাছে যে অস্ত্র ছিল সেসব বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি। তার অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের অনেক তথ্য আমরা পেয়েছি। সেসব বিষয় অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া সাহেদকে আবারো রিমান্ডে এনে অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সেকোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।’সাহেদকে জাল টাকার মামলায় আবারও ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা। অবৈধ অস্ত্র কেন সঙ্গে রেখেছিল জানতে চাইলে র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘এসব অবৈধ অস্ত্র সে লোক দেখাতে এবং নিজে প্রভাবশালী বোঝাতে দেখাতো।’ সাহেদের বিরুদ্ধে কতগুলো মামলার আছে জানতে চাইলে আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে র‌্যাব তিনটি মামলা করে। এছাড়া পুলিশ চারটি মামলা করেছে। এর বাইরেরও ৫৬টি মামলার তথ্য আমরা পেয়েছি।’৬ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্ট হাসাপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। করোনার দুর্যোগকালীন সময়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও টেস্ট না করে ফলাফল দেওয়া, হাসপাতাল পরিচালনার সনদের মেয়াদউত্তীর্ণসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরের দিন হাসপাতালটির দুটি শাখা সিলগালা এবং সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার পর থেকে সাহেদ ঢাকা থেকে পালিয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে সবশেষ সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন। ১৫ জুলাই ভোরে ভারতে পালানোর প্রস্তুতির সময় সাহেদকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে উত্তরায় তার অফিসে তল্লালি চালিয়ে বিপুল জাল টাকা জব্দ করা হয়।

Share.