ডেস্ক রিপোর্ট: গত কয়েক দিন ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলনে পুরোপুরি অচল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাড়ছে সহিংসতা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। সহিসংসতায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে।নিরাপত্তাহীনতা ও নানা শঙ্কায় রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ অবস্থায় প্রবাসীদের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার কারাদণ্ডাদেশের প্রতিবাদে গত পাঁচ দিন ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে একপ্রকার অচল দেশটি।আন্দোলনের আঁচ বাড়তে থাকায় সহিংসতা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম থেকে শহরেও। জ্বলছে সরকারি, বেসরকারি স্থাপনাসহ স্থানীয় ও প্রবাসীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিক্ষোভ দমাতে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না আন্দোলন।সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভে সহিংসতা অব্যাহত থাকায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এরই মধ্যেই অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে আর্থিক লোকসান আর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলেন, সরকারি বাহিনী বেশকিছু বাংলাদেশিদের দোকান রক্ষা করতে পেরেছেন। তবে ৫০টির মতো দোকানের মালামাল লুট হয়ে গেছে সরকারবিরোধী অন্দোলনকে ঘিরে। এদিকে, চলমান সহিংসতায় বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা আর সাবধানতা অবলম্বনে প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির বাংলাদেশের হাইকমিশন ও বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠনগুলো।এদিকে, বিবিসি ও আল-জাজিরা জানায় দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান দাঙ্গা, বিক্ষোভ ও লুটপাটের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। সেখানকার প্রশাসন বলছে, বিভিন্ন অপরাধীরা এ পরিস্থিতিতে সুযোগ নিচ্ছে।২০১৮ সালে জ্যাকব জুমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এক বিবৃতিতে বলেন, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় পূর্ণ আইনি শক্তি প্রয়োগ করা হবে।ক্ষমতায় থাকাকালেই জুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তদন্ত করছিলেন উপপ্রধান বিচারপতি রেমন্ড জোনডো। সেই তদন্তের জন্যই গত ফেব্রুয়ারিতে তলব করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির হননি। দেশটির সর্বোচ্চ আদালত জুমার এ আচরণকে আদালত অবমাননা হিসেবে রায় দিয়েছেন।উল্লেখ্য, ১৫ মাসের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়ার পর গত বুধবার পুলিশে ধরা দেন জ্যাকব জুমা (৭৯)। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত অবমাননার দায়ে গত ২৯ জুন জুমাকে কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই ঘটনার পর তার নিজ প্রদেশ কাওয়াজুলু নাতালে (কেজেডএন) বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়, যা ছড়িয়ে পড়ছে সবখানে।
দ.আফ্রিকায় সহিংসতা: নিরাপত্তাহীনতায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা
0
Share.