দ. কোরিয়ায় ভূমিধসে মৃত ৩০, সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

0

ডেস্ক রিপোর্ট: দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ১২ জন। দেশটিতে গেলো ৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে এ বছর। রোববার উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া  হয়েছে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে  দেশটির ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানায়, বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায়। এদিন সেখান থেকে ৬ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্যোগ ব্যস্থাপনা বিভাগের বরাতে গণমাধ্যটি জানায়, নতুন করে ভূমিধসে আহত হয়েছে আরো ৮ জন। এছাড়া, নৌকা ডুবে আরো তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো তিন জন। রোববার সিউল থেকে ৮৫ কিলোমিটার পূর্বের ইউয়িয়াম বাঁধের কাছে নৌকাটি ডুবে যায়। একে নৌ দুর্ঘটনা বলেছে কর্তৃপক্ষ। ইয়োন হাপ জানিয়েছেন, ১১টি প্রদেশের ৫ হাজার ৯শ’ বাসিন্দা বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন ৪ হাজার ৬শ’ জন। দুর্যোগের পূর্ভাবাসের কারণে তাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ৯ হাজার ৩শ’হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে অথবা নষ্ট হয়ে গেছে। ৯ হাজার ৫ ঘরবাড়ি স্থাপনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।রয়টার্স জানিয়েছে শনিবার উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলের সিমিজান নদীর ১শ’ মিটার ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে আশপাশের এলাকা। নদী থেকে ৫শ’ জনসহ ওই এলাকা থেকে ১ হাজার ৯শ’ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবকাশকালীন উপদ্বীপ জেজু ছাড়া প্রত্যেক অঞ্চলে ভূমিধসের আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।রানওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় গুয়াংজু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ১২টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সিউলের বাসিন্দাদের বেইজমেন্টে না থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।২০১৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা ৪৯ দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বর্ষা মৌসুম স্থায়ী হয়েছিল। এ বছরের বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে ৪৬ দিন হয়ে গেছে। এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

Share.