ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং বেতনভোগী শ্রেণীর উপর অতিরিক্ত ২০০ বিলিয়ন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। শুক্রবার এমন সিদ্ধন্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম ট্রিবিউন এক্সপ্রেস। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে একটি চুক্তি সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে বাজেটে প্রবর্তিত মোট নতুন করের রেকর্ড ১ ট্রিলিয়ন টাকার ওপরে চলে গেছে। বাজেট উইন্ডআপ বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বড় সংস্থাগুলির কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮০ বিলিয়ন রুপি সংগ্রহের জন্য ১-১- শতাংশ ‘এককালীন সুপার ট্যাক্স’ আরোপের ঘোষণা করেছিলেন। অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতার কয়েক মিনিট আগে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জাতির উদ্দেশে একটি পূর্ব-রেকর্ড করা ভাষণে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের পিছনে যুক্তি ব্যাখ্যা করার সময় বলেছিলেন, সাম্প্রতিক কঠোরতার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তাদের অংশ প্রদান করার জন্য এটি একটি রূপান্তরমূলক প্রচেষ্টা। প্রধানমন্ত্রী শিল্পের তালিকায় আরও তিনটি খাত যুক্ত করেছেন যেগুলি ১০ শতাংশ সুপার ট্যাক্সের আওতাধীন হবে। শাহবাজ শরিফ বলেছিলেন, সরকার যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে তখন দুটি বিকল্পের মুখোমুখি হয়েছিল; নতুন নির্বাচন আহ্বান করা বা কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং ডুবতে বসা অর্থনীতির মোকাবেলা করা। এর থেকে সঙ্কটে জনসাধারণকে ছেড়ে অন্যদের মতো নীরব দর্শক হয়ে যাওয়া খুব সহজ ছিল। অর্থমন্ত্রী আরও ৮০ বিলিয়ন রুপির জন্য বছরে ১৫০ মিলিয়ন থেকে ৩০০ মিলিয়ন রুপি পর্যন্ত উপার্জনকারী ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলির ওপর এককালীন ১-৪ শতাংশ অতিরিক্ত ‘দারিদ্র্য বিমোচন কর’ প্রস্তাব করেছেন। ১ থেকে ৪ শতাংশ অতিরিক্ত পরিমাপের মোট প্রভাব ১২০ বিলিয়ন রুপি হবে। তবে আগামী বছর ৪০ বিলিয়ন রুপি উপার্জনের জন্য যারা বছরে ৩০০ মিলিয়নের বেশি আয় করে তাদের ওপর সরকার ইতিমধ্যেই ২ শতাংশ ট্যাক্স প্রস্তাব করেছে। এছাড়ার পাকিস্তান সরকার ব্যাংক, সিমেন্ট, লোহা ও ইস্পাত, চিনি, তেল ও গ্যাস, সার, এলএনজি টার্মিনাল, টেক্সটাইল, ব্যাংকিং, অটোমোবাইল, সিগারেট, পানীয়, রাসায়নিক এবং বিমান সংস্থার ওপর ১০ শতাংশ সুপার ট্যাক্স আরোপ করেছে বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন।
ধনীদের ওপর ১০ শতাংশ ‘সুপার ট্যাক্স’ আরোপ করেছে পাকিস্তান
0
Share.