ঢাকা অফিস: রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক গৃহকর্ত্রী ও তার গৃহকর্মীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আরেক গৃহকর্মীকে সন্দেহ করছে পুলিশ। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় জোড়া খুনের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই বাসার সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে। ওই ফুটেজ দেখে এক নারীকে সন্দেহ করা হচ্ছে। পরে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারেন, ওই নারী নিহতের বাসায় নতুন গৃহকর্মী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিল। পুলিশ তাকে শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। পুলিশের ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার হাসিনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেয়েছি। বাসাটিতে যে নতুন গৃহকর্মী এসেছিল, তাকে আমরা সন্দেহ করছি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে এখনও তার পরিচয় জানা যায়নি। যে ব্যক্তি তাকে এই বাসায় নিয়ে এসেছিল, তার মাধ্যমে ওই নতুন গৃহকর্মীর তথ্য এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে ছবি পেয়েছি।’ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম (৬৫) ও গৃহকর্মী দিতির (১৬) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আফরোজা বেগমের জামাই শিল্পপতি মনির উদ্দিন তারিম বলেন, ‘বাসা থেকে মোবাইল ও স্বর্ণালংকার খোয়া গেছে।’ পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বাসা থেকে টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের হত্যা করা হতে পারে। তাদের ফ্ল্যাটের আলমারি খোলা ও এলোমেলো ছিল। বাড়িটির নিরাপত্তাকর্মী নুরুজ্জামান বলেন, ‘এই বাড়ির চারতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন আফরোজা ও গৃহকর্মী দিতি। উপরে পাঁচতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন তার মেয়ে দিলরুবা সুলতানা ও জামাই মনির উদ্দিন তারিম। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় তারিমের পিএস বাচ্চু এক নারীকে নিয়ে বাসায় আসেন। ওই নারী বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার কথা বলে বাচ্চুর সঙ্গে ওপরে যায়। এরপর বাংলাদেশ সময় ৬টার দিকে বাচ্চু একবার লুঙ্গি পরে নিচে নামে। এর কিছুক্ষণ পর ওই নারী চলে যায়। তারপর বাচ্চুও প্যান্ট-শার্ট পরে চলে যায়। তারপর ওপর থেকে আমাকে একটা ছেলে ফোন দিয়ে জানায় খালাম্মা মারা গেছে। এরপর লোকজন আসেন।’ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে বাড়িটির ইলেক্ট্রিশিয়ান বেলায়েত ও আফরোজার জামাইয়ের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) বাচ্চুকে আটক করেছে পুলিশ।
ধানমন্ডিতে জোড়া খুন, সন্দেহে গৃহকর্মী
0
Share.