ঢাকা অফিস: ধান ও চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সব জেলার ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) একসঙ্গে দৃশ্যমান অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। হঠাৎ করেই চালের দাম বাড়তে থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। মজুতদার, মিল মালিক, লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী, লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ী- যারাই নিয়ম ভঙ্গ করবে, অভিযানে তাদের কাউকেই ছাড় না দিতে বলা হয়েছে। তবে কোনো গৃহস্থ বাড়িতে যেন অভিযান পরিচালনা না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ‘অভ্যন্তরীণ আমন (ধান ও চাল) সংগ্রহ, বাজার মূল্য ও মজুত কার্যক্রম তদারকি’ শীর্ষক দুটি ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের প্রতিটি উপজেলায় অভিযান চালাবে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন। খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে আট বিভাগীয় কমিশনার, ৬৪ জেলার ডিসি-এসপিসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দফার বৈঠকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় বৈঠকে ছিলেন রাজশাহী, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কর্মকর্তারা। বৈঠকে খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে যেন আশপাশের এলাকায় অভিযানের খবর যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে অন্যান্য মজুতদার ও কালোবাজারিরা অবৈধভাবে ধান বা চাল মজুত করতে ভয় পাবে। কোনো গৃহস্থ বা কৃষকের বাড়িতে ধান মজুতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনাকালে ডিসি ও এসপি যেন একসঙ্গে যান, সে বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যসচিব। মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সচিবের নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালনের নির্দেশ দেন বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধান-চালের দাম যেন হঠাৎ করে না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে জেলা পর্যায়ের মিল মালিকদের নিয়ে ডিসিরা বৈঠক করবেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে যাদের ব্যবসার লাইসেন্স নাই, তাদের বিষয়ে তো ব্যবস্থা নেওয়া হবেই, যাদের লাইসেন্স আছে তারাও ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
ধান ও চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সব জেলায় অভিযানের নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়
0
Share.