বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬

নজর রাখছে সেনাবাহিনী, রাস্তায় নামলেই জেরা

0
ঢাকা অফিস: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজশাহীর রাস্তায় নামে সেনাবাহিনী। তারা কঠোর অবস্থান নিয়ে লোকজনের চলাচলে নজরদারি করে। গাড়ি দিয়ে রাস্তা দিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা লোকজনকে বের হওয়ার কারণ যানতে চান এবং অনেককে ঘরে ফিরে যেতে বলেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দেয় সেনাবাহিনী। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এই পদক্ষেপের কথা বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। তাতে সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানানো হয়েছিল। দেশজুড়ে ছুটি ঘোষণা করে জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রাজশাহীতেও ছিল অঘোষিত লকডাউন। তবে প্রথম দিকে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার ফাঁকা থাকলেও গত তিন-চারদিন ধরে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে যায়। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে রাজশাহীতে মানুষ চলাচল করে। এ অবস্থায় সরকারের পদক্ষেপ ও স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নের জন্য রাজশাহীতে কঠোর অবস্থানে গেছে সেনাবাহিনী। করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। বিদেশফেরত সবাইকে বলা হয়েছে কোয়ারেন্টিনে থাকতে। গত ২৪ মার্চ সরকারের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সশস্ত্র বাহিনীও কাজ করছে। ৬২ জেলায় পাঁচ হাজারের বেশি সেনা সদস্য এখন কাজ করছেন। শুরুতে মানুষ নির্দেশনা পালন করলেও এখন কিছুটা ঢিলেঢালাভাব দেখা যাচ্ছে। এ জন্য কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার অংশ হিসেবে দেশের সকল স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে। সরকার প্রদত্ত নির্দেশাবলী অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, অনেকেই ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার কিছু কিছু এলাকায়, ঢাকার আশেপাশে, ইউনিয়নে, গ্রামে গঞ্জে মানুষজন ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছেন, বাইরে ঘোরাফেরা করছেন, চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন। এসব করবেন না। এতে করে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে যাবে। ফলে সার্বিক অবস্থান বিবেচনা করে এদিনই সেনাবাহিনী কঠোর হওয়ার বার্তা দিল।
Share.