ডেস্ক রিপোর্ট: এ বছরের মধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনতে যখন বিশ্বের বড় বড় ওষুধ কোম্পানিগুলো তোড়জোড় শুরু করেছে, তখন নভেম্বরের মধ্যেই এ ভ্যাকসিন জনগণের হাতে পৌঁছে দেয়ার ইঙ্গিত দিল চীন।সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন আশার কথা জানান দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রধান বায়োনিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ গুইজেন ইয়ু। খবর রয়টার্স।গুইজেন বলেন, ‘আমাদের চারটি ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আছে। নভেম্বর বা ডিসেম্বরের মধ্যেই সেগুলো সাধারণ জনগণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে’। সাক্ষাৎকারে ইয়ু দাবি করেছেন, তিনি নিজেই এপ্রিলে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এখনও কোনো অস্বাভাবিক উপসর্গের মুখোমুখি হননি। এর আগে চীনের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল অক্টোবরের শেষে দেশটির সকল অঙ্গরাজ্যে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় নির্বাচনের আগে বিতরণকৃত ভ্যাকসিনটি আদতে কার্যকরী হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা। চীনে এখন পর্যন্ত চারটি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। যার মধ্যে একটি ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য চীন সরকার বাংলাদেশকে এক লাখেরও বেশি ডোজ দেবে।চীনের রাষ্ট্রীয় সংস্থা চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ (সিনোফার্ম) ও যুক্তরাষ্ট্রে তালিকাভুক্ত সিনোভ্যাক বায়োটেক দেশটির জরুরি ব্যবহারের জন্য তিনটি টিকা তৈরিতে কাজ করছে। চতুর্থ আরেকটি টিকা তৈরিতে কাজ করছে ক্যানসিনো বায়োলজিকস। গত জুনে চীনা সেনাবাহিনীর জন্য টিকাটি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
নভেম্বরেই করোনা ভ্যাকসিন পেতে পারে চীনারা
0
Share.