ডেস্ক রিপোর্ট: নাগরিকত্ব সংশোধন বিল নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির বিক্ষোভ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এসব এলাকার আঞ্চলিক পরিচয় রক্ষায় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে বহুল আলোচিত ওই বিল পার্লামেন্টে উত্থাপনের সময়ে এসব কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রধান অমিত শাহ। এর আগে ২০১৬ সালে একবার নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাসের উদ্যোগ নেয় বিজেপি সরকার। সেবার লোকসভায় অনুমোদন পেলেও রাজ্যসভার অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয় বিলটি। তখন আসামসহ ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সোমবারও বিজেপি সরকার পার্লামেন্টে বিলটি তোলার পরও ওই অঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে ওই অঞ্চলের প্রভাবশালী উত্তর-পূর্ব ছাত্র সংস্থা। বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, এতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী ভারতে প্রবেশ করবে। নষ্ট হবে এসব এলাকার আঞ্চলিক পরিচয়। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, ‘উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি যেসব বিষয়ে বিরোধিতা করছে তা এই বিলে নিরসন করা হবে। উত্তেজিত হওয়ার কারণ নেই, বিক্ষোভের দরকার নেই। ইতোমধ্যে যথেষ্ট হয়েছে। এখন দেশ শান্তিপূর্ণভাবে সামনে এগিয়ে যেতে চায়’। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি প্রধান অমিত শাহ বলেন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মত নিয়েই বিলটি পার্লামেন্টে আলোচনার জন্য তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, এমন নয় যে আমি কারও সঙ্গে আলোচনাই করিনি। ১৪০টিরও বেশি বেসরকারি সংস্থা ও রাজনৈতিক দল এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ১১৯ ঘণ্টারও বেশি আলোচনা করেছি। তাদের সবার পরামর্শই বিলে সন্নিবেশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষকে বুঝতে হবে এই বিলের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশগুলোতে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের শিকার কতো অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘নাগাল্যান্ড ও মিজোরাম অভ্যন্তরীণ পারমিট লাইন দিয়ে সুরক্ষিত থাকবে, মনিপুরও এই বিষয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের আবেগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। তিনি বলেন, অন্যদিকে মেঘালয়ও তার সিক্সথ সিডিউল (সংবিধানে বর্ণিত উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা) দিয়ে সুরক্ষিত থাকবে। এগুলো বিলের আওতামুক্ত রাখা হবে’।