ঢাকা অফিস: সমাজকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হলে নারী-পুরুষের একযোগে কাজ করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে নারীকে সামনে নিয়ে আসার জন্য সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১ উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আজ সোমবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশের নারী-পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘এ দেশের নারী-পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে বাংলাদেশে উত্তরণ ঘটবে। বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। বাস্তবায়িত হবে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০। মুজিববর্ষে এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।’শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।নারী উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী সক্ষমতা অর্জনে আশ্রয়ণ প্রকল্পে যৌথ নামে বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। নীতিমালায় এটিও ছিল, যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংঘাত হয়, তাহলে ওই ঘরের মালিক কিন্তু মেয়েরাই হবে। মেয়ের কাছেই থাকবে এই সম্পত্তিটা। অর্থাৎ, মেয়েদের যেন একটা ঠিকানা থাকে। আর, বর্তমানে মুজিববর্ষ হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সে কারণেই কিন্তু ঘরের মালিকানা দেওয়ার সময় নারী-পুরুষ দুজনের নামই দেওয়া হয়েছে।’নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধ এবং নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকার বেশকিছু আইন ও কর্মপন্থা প্রণয়ন করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে আলাদা রেখে জাতির সঠিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো একটা অর্জনের পেছনে একজন নারীর যে অবদান থাকে, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। আমাদের এই সমাজকে যদি আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে সবচেয়ে প্রয়োজন—নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে।’অনুষ্ঠানে নারী উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় পাঁচ বিশিষ্ট নারীকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জয়িতা পুরস্কার তুলে দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
‘নারী-পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ’
0
Share.