ঢাকা অফিস: গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম, আর তীব্র যানজটও বাধা হতে পারেনি শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায়। বাড়তি ভাড়া দিয়ে বাসে কিংবা ট্রাকে যে যেভাবে পারছেন নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছেন। যাত্রীচাপে গণপরিবহনে উধাও স্বাস্থ্যবিধি। ট্রেনে ভিড় কম থাকলেও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই যাত্রীদের।গত কয়েকদিনে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ রাজধানী ছেড়েছে। বাস, ট্রেন, লঞ্চে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ধারণা করা যাচ্ছে মঙ্গবার (২০ জুলাই) ১০-১৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারে। ঢাকার রাস্তাঘাট এখন অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে।রাত পেরুলেই ঈদ। প্রতিটি স্টেশনে, কাউন্টারে মানুষের ভিড়। করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতার মধ্যেই যাত্রীরা গন্তব্যে ছুটছেন গাদাগাদি করে। এক সিট খালি রাখা তো দূরে থাক! ইঞ্জিনের ওপর বসিয়েও নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। আবার মহাসড়কে যানজটের কারণে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যানজটের কারণে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা এমন অভিযোগ করেন যাত্রীরা।বগুড়া যাবেন এমন একজনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অন্য সময়ে ভাড়া সাড়ে তিনশ টাকা। এখন ১১০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে।এছাড়াও বাস-ট্রেন নিয়ে সময় বিভ্রাটেরও অভিযোগ পাওয়া যায়।গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহনে এমন নৈরাজ্য চললেও দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে এসে বিআরটিএর চেয়ারম্যান দাবি করলেন এখন পর্যন্ত পাননি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় নি। তিনি বলেন, সব কিছু নিয়মমাফিক চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি আমাদের আছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে শেষদিনে কমলাপুর রেলস্টেশনেও ছিল ঘরমুখো মানুষের ভিড়। প্রবেশপথে যাত্রী চাপে ভেঙে পড়ে স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রী চাপ সামলাতে বর্তমানে সারাদেশে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর ও ১৯ জোড়া মেইল কমিউটার ট্রেন চলছে।
নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ, ঢাকা ফাঁকা
0
Share.