নিউজিল্যান্ডে বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটে ৫০ হাজার শিক্ষক

0

ডেস্ক রিপোর্ট: বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে নিউজিল্যান্ডের অন্তত ৫০ হাজার শিক্ষক ধর্মঘট করেছেন। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিক্ষকদের ট্রেড ইউনিয়নের এক আলোচনার পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তারা এ ধর্মঘট পালন করেন। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা তাদের ধর্মঘট কর্মসূচি পালনকালে ন্যায্য বেতন ভাতার দাবি জানান। এসময় শিক্ষকরা তাদের ‘দাঁতের চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই’ এমন লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্লেকার্ড তুলে ধরেন। একদিনের এই ধর্মঘটে দেশটির কিন্ডারগার্টেনের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা অংশ নেওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। বেতন ভাতার দাবিতে শিক্ষকদের এমন ধর্মঘট নিউজিল্যান্ডে অনেকটাই নজিরবিহীন। শিক্ষকদের ট্রেড ইউনিয়ন তাদের যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, সরকারের সর্বশেষ বেতন প্রস্তাব মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে মেলে না। এছাড়া শিক্ষক সংকটের কারণে দেশের শিক্ষা খাত ‘সঙ্কটের মুখে পড়েছে। পোস্ট প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ক্রিস অ্যাবারক্রম্বি বলেন, ‘মানমসম্মত শিক্ষা হচ্ছে মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। দুঃখজনকভাবে শিক্ষক হিসেবে আমরা সেই অধিকারটিকে ধীরে ধীরে এবং নিশ্চিতভাবে অবমূল্যায়ন করতে দেখছি।’ শিক্ষাপ্রতষ্ঠিানে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্টাফ রাখতে এবং স্নাতক ডিগ্রিধারীদের এ পেশায় আনতে শিক্ষকদের বেতন এবং কাজের অবস্থার উন্নতি অপরিহার্য বলেও জানিয়েছেন পোস্ট প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের এই নেতা। নিউজিল্যান্ড এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট মার্ক পটার বলেন, ‘শিক্ষকরা সরকারের কাছে একটা বার্তা পাঠাতে চায় যে, আমরা শিক্ষা খাতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তা কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’ ‘আমরা সকলেই আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য সেরাটা চাই কিন্তু পদ্ধতির পরিবর্তন ছাড়া এক্ষেত্রে আমরা তাদের কিছু দিতে পারি না’—যোগ করেন মার্ক পটার। এদিকে নিউজিল্যান্ডের শিক্ষামন্ত্রী জ্যান টিনেটি বলেছেন, তিনি শিক্ষকদের ধর্মঘট দেখে হতাশ হন এবং এই বিরোধ দ্রুত সমাধান করতে চান। উল্লেখ্য, জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের বিষয়টি নিউজিল্যান্ডে একটি প্রধান রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। দেশটির এমন পরিস্থিতিতে সরকার মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

Share.