বুধবার, এপ্রিল ২৩

নিখোঁজের একদিন পর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার

0

বাংলাদেশ থেকে নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে নিখোঁজের একদিন পর জুঁই খাতুন (৭) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বিবস্ত্র লাশ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে মাত্র একশ’ গজ দুরে চাটমোহরের রামপুর বিলের একটি ভুট্টা খেতে তার লাশ পাওয়া যায়। জুঁই নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিরুল ইসলামের মেয়ে ও গাড়ফা আজেদা নুরানি কিনডার গার্টেনের শিক্ষার্থী। জুঁইকে ধর্ষণের পর পরনের প্যান্ট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা ও অ্যাসিড দিয়ে মুখ ঝলসে দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার, চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম ও বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শিশুটির মা মোমেনা খাতুন জানান, সোমবার বিকালে জুঁই দাদীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। দাদীর হাতে রান্না করা সেমাই খাবে এবং রাতে সেখানেই থাকবে বলেছিল। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে জুঁই ওখানে যায়নি। এরপর চারদিকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে ভুট্টার জমিতে জুঁইয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ি থেকে মাত্র একশ’ গজ দুরে রামপুর বিলের একটি ভূট্টা খেতে জুঁই খাতুনের বিবস্ত্র লাশ পড়ে আছে। মুখে পোড়া ক্ষত কালো চিহ্ন। পরনের প্যান্ট গলায় পেঁচানো। শিশুটিকে হত্যার এমন বিভৎসতায় পুরো এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকাবহ পরিবেশ। বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া গেছে, তার বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায়, লাশ উদ্ধার হয়েছে চাটমোহরের সীমানায়। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার বলেন, প্রাথমিক ভাবে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং মুখ অ্যাসিডে পোড়ানো হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে।

Share.