ডেস্ক রিপোর্ট: গত শনিবার ৬২ যাত্রী নিয়ে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ার বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার আগে উভয় ইঞ্জিনই সচল ছিল।শুক্রবার দেশটির পরিবহন সুরক্ষা সংস্থা বিমানের একটি ব্ল্যাক বক্সে পাওয়া তথ্যের বরাতে জানিয়েছে, পানিতে পড়ার আগে বিমানের ক্রুরা ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেননি। কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কথাও জানাননি। বিমানটি পানিতে পড়ার আগ পর্যন্ত অক্ষত ছিল বলে ধারণা করছেন তারা। বোয়িং ৭৩৭-৫০০ মডেলের বিমানটটির ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার (এফডিআর) থেকে সফলভাবে তথ্য ডাউনলোড করে এ ঘোষণা দেয় তারা।গত শনিবার ইন্দোনেশিয়ার বোয়িং ৭৩৭-৫০০ মডেলের বিমানটি উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হারায়৷ সুকর্নো-হাত্তা বিমানবন্দর থেকে পশ্চিম কালিমান্তান প্রদেশের রাজধানী পন্টিয়ানাক এর উদ্দেশ্যে প্লেনটি যাত্রা করছিল৷ ফ্লাইটটিতে মোট ৬২জন আরোহী ছিলেন৷ গত মঙ্গলবার ফ্লাইটের ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করে উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা কমিটি (কেএনকেটি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রেকর্ডারটিতে ৩৩০ প্যারামিটার রয়েছে এবং সবগুলি ভাল অবস্থায় আছে।দেশটির পরিবহন সুরক্ষা সংস্থা সংস্থাটির প্রধান বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, আন্তর্জাতিক মানের সাথে মিল রেখে ক্র্যাশ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন তারা। স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে রাজধানী জাকার্তা থেকে বিমানটি উড্ডয়ন করেছিল। পরবর্তীকালে সাগরের ওপরে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় থাকা অবস্থায় বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর থেকেই বিমানটির সঙ্গে কন্ট্রোল রুম থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি। বিমানটিতে ১০ শিশুসহ ৫০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য ছিল। বিমানে থাকা সকল আরোহীই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। রাজধানীর সমুদ্রের উপকূলের নিকট একটি উদ্ধার পার্টি বিমানের ধ্বাংসাবশেষ এবং মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে প্রায় তিন হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে।
নিখোঁজের আগে ইন্দোনেশিয়ার বিমানের ইঞ্জিন সচল ছিল
0
Share.