ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রে আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। কিন্তু কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিভাজিত এই নির্বাচন নিয়ে দেশজুড়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আতঙ্কে কুঁকড়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের শুরুর দিকে দাঙ্গা ও লুটপাটের শিকার হয় শিকাগোর বহু দোকান। এই নির্বাচনের পর একই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সেখানকার ব্যবসায়ীরা। এজন্য দোকানপাটে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তবে শুধু শিকাগো নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সব শহরেই চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ব্যাপারে এসব শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এই ছোট থেকে বড় সব প্রতিষ্ঠানই এ ধরনের সতর্কতা নিয়েছে। ওই তালিকায় নর্ডস্টর্ম এবং ফার্মেসি চেইন সিভিএস’র মতো প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের প্রভাব শেয়ারবাজারেও পড়েছে। যদিও গত সপ্তাহের চেয়ে কিছু ভালো অবস্থানে থেকেই দিন শেষ করেছে মার্কিন শেয়ারবাজার। বেশিরভাগ জরিপেই রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। কিন্তু কিছু কিছু রাজ্যে উভয় প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ব্যবধান খুবই কম। সেক্ষেত্রে এসব রাজ্য ভোটের ফলাফল নির্ধারণ করে দিতে পারে। এরই মধ্যে ট্রাম্প নির্বাচনে কারচুপির ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। এর আগে নির্বাচনে পরাজিত হলে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়েও নিজের যে অবস্থান ব্যক্ত করেছেন তাতে পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে। আবার ভোট গণনা নিয়েও ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে আইনি মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে ওয়ালমার্ট বলেছিল, তারা তাদের দোকান থেকে সাময়িকভাবে বন্দুক ও গোলাবারুদ সরিয়ে নেবে। নাগরিক অস্থিতিশীলতা উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায়। যদিও একদিন পরই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে তারা। এদিকে সম্ভাব্য সহিংসতার আশঙ্কা নিজ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তারা জানিয়েছে, নির্বাচনকালে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া ভীড় ও বিক্ষোভপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে।
নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কায় কুঁকড়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র
0
Share.