নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন বরিস জনসন?

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন বিলম্বিত করতে সম্মত হলে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের উদ্যোগ নেবেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিরোধী দল লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের উদ্যোগ নিলে তাতে সম্মত হবে তারা। এখন  ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়িত হবে নাকি আরও সময় দেওয়া হবে তা নির্ভর করছে ইইউ নেতাদের সিদ্ধান্তের ওপর। দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর গত সপ্তাহে ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইইউ-জনসন সমঝোতা হয়। প্রক্রিয়া মাফিক ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে হলে তার আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এটি অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।  মঙ্গলবার সরকার প্রস্তাবিত ১১৫ পৃষ্ঠার চুক্তির খসড়া হাউস অব কমন্সে উত্থাপন করা হলে তা আলোচনার জন্য গ্রহণ করা হয়। আালোচনার পক্ষে ৩২৯টি ভোট পড়ে, ওই চুক্তির বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৯৯টি। পার্লামেন্ট আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিলেও জনসনের পক্ষ থেকে আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যে প্রস্তাব তোলা হয়, তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। ভোটাভুটির পর জনসন বলেন, এমপিরা আরও দেরি করিয়ে দেওয়ায় তিনি হতাশ। এখন ইইউর পরবর্তী পদক্ষেপ দেখা পর্যন্ত তিনি তার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখবেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মতে হলো এখন সাধারণ নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া। তবে এটা প্রধানমন্ত্রী এককভাবে করতে পারবেন না। এই উদ্যোগে পার্লামেন্টের সম্মতির দরকার পড়বে।  যুক্তরাজ্যের আইন সচিব রবার্ট বাকল্যান্ড বিবিসি ব্রেকফাস্টকে বলেছেন, অচলাবস্থা নিরসনে সাধারণ নির্বাচন একমাত্র পন্থায় পরিণত হওয়াটা দুঃখজনক। আর বিরোধী দল লেবার পার্টির ছায়ামন্ত্রী রিচার্ড বার্গন বলেছেন, ইইউ ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে সম্মত হলে তার দল সাধারণ নির্বাচনে সম্মত হবে। কারণ সেক্ষেত্রে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আর কোনও উপায় থাকবে না। ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে এ বছরের গত মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসন। নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন তিনি।

Share.