ঢাকা অফিস: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনে পুড়ে যাওয়া নিহতদের পরিচয় শনাক্তে ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।রোববার (১১ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত ৪৫টি মরদেহের বিপরীতে ওই ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য।সিআইডি জানিয়েছে, মরদেহগুলো আগুনে পুড়ে ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাওয়ায় ডিএনএ প্রোফাইলিং করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তাই নিহতদের পরিচয় জানতে সময় লাগতে পারে এক মাসের বেশি।সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার জানান, মরদেহগুলোর বেশিরভাগই পুড়ে গেছে। তাই শুধু হাড় ও দাঁতের নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছি। টিস্যু থেকে নমুনা নিতে পারলে ফলাফল আসতে কম সময় লাগত। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। সেজন্যই সময় বেশি লাগতে পারে।সিআইডির ডিএনএ পরীক্ষক দীপঙ্কর দত্ত গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহগুলোর আলামত খুবই নাজুক। কোনো কোনো আলামত পুড়ে প্রায় ছাই হয়ে যাওয়ায় একটু সময় লাগবে।তিনি বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দাঁত ও হাড়কে গলাতে হয়। এটা গলতে ১০ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। তারপর শুরু হয় ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের কাজ। দাঁত ও হাড় গলানোর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। মরদেহগুলো থেকে দাঁত এবং হাড়, ক্ষেত্রবিশেষে টিস্যু সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলো নিয়ে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাব কাজ শুরু করেছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত প্রোফাইলিং করে মরদেহগুলোর আইডেন্টিটিফিকেশন করার।দীপঙ্কর দত্ত জানান, মরদেহগুলোর পরিচয় জানতে ১৫-৩০ দিন লাগতে পারে। ১৫ দিনের আগে পরিচয় শনাক্ত করা যাবে না।তিনি আরও বলেন, নমুনা সংগ্রহের জন্য বাবা-মায়ের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনের রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। একজন ব্যক্তির ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ে ৫০ পার্সেন্ট তার মায়ের সঙ্গে, ৫০ পার্সেন্ট তার বাবার সঙ্গে মিল পাই। এর ওপর ভিত্তি করে আইডেন্টিটিফিকেশন করা হচ্ছে।এদিকে শুক্রবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে বসানো হয়েছে ডিএনএ বুথ। প্রথমদিন ২৬ জন, দ্বিতীয়দিন ৩০ জন ও তৃতীয়দিনে সাতজনের নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি।উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ভবন থেকে ৫২ জনের আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতদের পরিচয় শনাক্তে হাড় ও দাঁতের নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি
0
Share.