বাংলাদেশ থেকে নীলফামারী প্রতিনিধি: তিস্তা নদীতে ভয়াবহ বন্যার সংকেত পাওয়া গেছে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা অববাহিকা ঘিরে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতের অংশে দো-মহনী পয়েন্টে তিস্তা, জলঢাকা, কালজানি ও তোর্সা নদীর পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্র মতে ভুটানেও চলছে বৃষ্টি। তার জেরে ভুটান পাহাড় থেকে কালজানি এবং তোর্সা নদী দিয়ে প্রবল বেগে নেমে আসছে পানির স্রোত । নীলফামারীর ওপারে উজানে ৪৫ কিলোমিটার অদুরে ভারতের আলিপুরদুয়ার এবং ১০ কিলোমিটার অদুরে কোচবিহারেও লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোচবিহারে ধারাবাহিক বৃষ্টি চলছে। পাশাপাশি, তিস্তানদীর প্রবেশ দ্বার বাংলাদেশের নীলফামারীর কালিগঞ্জ সীমান্ত লাগোয়া ভারতের অংশের তিস্তা অসংরক্ষিত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। উজানে ভারতের অংশের এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অংশের নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আজ শনিবার (১৮ জুন) বিকাল থেকে হু-হু করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরন কেন্দ্র ও ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা আসফাউদদৌলা ।সুত্র মতে ডালিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। সুত্র মতে শনিবার সকাল ৬ থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বাংলাদেরে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২.৬০) ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছিল। তবে বিকালে পুনরায় উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে হু-হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকায় মানুষজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হচ্ছে। এর আগে ডালিয়া পয়েন্টে শুক্রবার সকালে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছিল। এতে ১০ হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ বন্যা কবতি হয়ে পড়েছিল। এখন নতুন করে পুনরায় ঢল নামলে তিস্তা নদী অববাহিকায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি করবে। এদিকে তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে সরকারী ভাবে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।