রবিবার, অক্টোবর ২০

নোয়াখালীতে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় শিশুর মৃত্যু, ৬ শিক্ষক গ্রেপ্তার

0

ঢাকা অফিস:  নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মিশন নূর হাদি নামের ১০ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় এক শিক্ষকসহ অসুস্থ হন আরও ১৮ জন।এদিকে, অসুস্থ ১৭ শিশুকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বয়স ৯ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। নিহত নূর হাদি চাচার দায়ের করা মামলায় ওই মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৬ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।সোমবার (২ আগস্ট) রাত ৯ টার দিকে একলাশপুর বাজারের দোতালা মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিশন নূর হাদি ওই মাদ্রাসার নূরানী শাখার শিক্ষার্থী।    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো এশার নামাজ শেষ করে রাত ৯ টার দিকে মাদ্রাসার একজন শিক্ষকসহ রাতের খাবার খায় নূরানীর শাখার প্রায় ১৮ জন শিশু শিক্ষার্থী। খাওয়ার শেষ পর্যায়ে এসে একজন একজন করে সবাই বমি করতে থাকে। এক পর্যায়ে সবাই বমি করলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় একজন চিকিৎসকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন। পরে তিনি তাদের অবস্থা দেখে দ্রুত জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাত ১১ টার দিকে তাদের হাসপাতালে আনা হয়।অসুস্থদের সাথে আসা মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, নূরানীর ছাত্ররা যখন ভাত খাচ্ছিল তখন আমরা নামাজ পড়ছিলাম। তাদের চিৎকার শুনে আমরা এসে দেখি সবাই বমি করতেছে। গুরুর মাংসগুলো একসঙ্গে দুপুরে রান্না করে আলাদা দুই ভাগ করে রাখা হয়েছিল। দুপুরে খাওয়ার পর কারো সমস্যা হয়নি।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেনের সাথে কথা বলে তিনি জানতে পারেন রাতে ভাতের সঙ্গে বাচ্চাদের গরুর মাংস দেওয়া হয়। যা দুপুরেও তারা খেয়েছিল। স্থানীয় এক মহিলা তাদের ওই খাবার রান্না করেন।নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, হাসপাতালে ১৮ জন শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসার পর একজন মারা যায়। অন্য শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এ সমস্যা হয়েছে বলে রোগীদের সাথে আসা লোকজন জানিয়েছে। দুই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার জানান, শিশু মিশন নূর নাহিদের মৃত্যুর ঘটনায় তার চাচা আহসান উল্যা বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় এজাহার ভুক্তদের মধ্যে মাদ্রাসার ৬ শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগে থানায় আনা হয়েছিল। এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Share.