ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট (ন্যাটো) তে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। বারবার আহ্বান সত্ত্বেও ন্যাটো ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপের অস্বীকৃতি জানায়। সামগ্রিক দিক বিশ্লেষণ করে ন্যাটোতে ইউক্রেন যোগ দিতে পারবে না তা দেশের জনগণের মেনে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার ব্রিটিশ এক সংবাদমাধ্যমকে জেলেনস্কি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য না… বছরের পর বছর শুনে আসছি যে আমাদের জন্য দরজা (ন্যাটো) খোলা কিন্তু এটিও শুনেছি যে ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবো না। এটিই বাস্তবতা এবং তা স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।‘ ইউক্রেনের জনগণও রুশ হামলার পর বাস্তবতা বুঝতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জেলেনস্কি। তার মতে, এ বিপদের দিনে যারা বন্ধুর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের ওপর ভবিষ্যতে নির্ভর করতে হবে। তিনি আরও জানান, রুশ হামলা মোকাবেলায় দেশের জনগণের সাহসী মনোভাবের জন্য গর্ববোধ করেন । এ জন্য তিনি দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া রাশিয়ার বিমান হামলা থেকে বাঁচতে আবারও নো-ফ্লাই জোন ঘোষণার আহ্বান জানান জেলেনস্কি। ইউক্রেন ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ত্যাগ করুক, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাশিয়া দেশটির ওপর অনবরত চাপ সৃষ্টি করে চলছে। ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রদেশ দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ক্রাইমিয়াকে নিজেদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর মারিওপোলের একটি হাসপাতালে রাশিয়ার সেনারা চিকিৎসক ও রোগীসহ ৪০০ লোককে আটকে রেখেছে বলে শহরটির ডেপুটি মেয়র অভিযোগ করেছেন। ইউক্রেনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার প্রায় ২০ হাজার বেসামরিক শহরটি ছাড়তে সক্ষম হয়েছেন। এদিকে কিইভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো রাজধানীতে ৩৫ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছেন; সময়টিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক ও কঠিন’ অভিহিত করে নগরীর বাসিন্দাদের সতর্ক করেছেন তিনি।