রবিবার, নভেম্বর ২৪

ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন ঘিরে লিথুয়ানিয়ায় রণসজ্জা

0

ডেস্ক রিপোর্টপশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ায়। কারণ বৈঠকটি যে স্থানে হবে তা রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের সীমান্ত থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জার্মানি ইতোমধ্যে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে প্যাট্রিয়ট দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। এতে বৈঠকের স্থানটি একটি দুর্গে পরিণত হয়েছে। খবর এএফপির। ১১-১২ জুলাই এই স্থানেই মার্কিন প্রেসিডনেট জো বাইডেনসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতারা বৈঠকে বসবেন। ১৬টি ন্যাটোভুক্ত দেশ মঙ্গল ও বুধবার শীর্ষ সম্মেলনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রায় এক হাজার সেনা পাঠিয়েছে। কারণ ভিলনিয়াস রাশিয়া থেকে মাত্র ১৫১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ ছাড়া স্পেন মোতায়েন করতে যাচ্ছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ফ্রান্স থেকে আসছে হাউই, ফিনল্যান্ড এবং ডেনমার্ক সামরিক জেট স্থাপন করছে লিথুয়ানিয়ায়। ফ্রান্সের পাশাপাশি ড্রোনবিরোধী প্রযুক্তি সরবরাহ করছে যুক্তরাজ্য। পোল্যান্ড এবং জার্মানি পাঠিয়েছে বিশেষ অপারেশন বাহিনী। লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিটানাস নৌসেদা বলেন, বাইডেন এবং ৪০টি দেশের নেতা আসার কারণে আমাদের আকাশকে অরক্ষিত রাখা বোকামি হবে। লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া এবং লাটভিয়ার বাল্টিক দেশগুলো এক সময় মস্কো শাসনের অধীনে ছিল। তবে ২০০৪ সালের পর থেকে এসব দেশ ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যোগ দেয়। সীমান্তে সৈন্য পাঠাচ্ছে পোল্যান্ড ॥ টানা প্রায় দেড় বছর ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। আর সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের উত্তেজনা পৌঁছেছে বেলারুশেও। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে এক হাজারের বেশি সেনা মোতায়েনের কাজ শুরু করেছে পোল্যান্ড। মূলত প্রতিবেশী বেলারুশে রাশিয়ার ওয়াগনার যোদ্ধাদের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। রবিবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোল্যান্ড তার পূর্ব সীমান্তে এক হাজারের বেশি সৈন্য মোতায়েনের কাজ শুরু করেছে বলে পোলিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। বেলারুশে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের উপস্থিতি নিজেদের সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন উদ্বেগ রয়েছে দেশটির। রুশ ভূখন্ডে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করবে না ইউক্রেন ॥ ইউক্রেনে বিতর্কিত ক্লাস্টার বোমা পাঠানোর যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ। ওয়াশিংটনের এই সহায়তা ইউক্রেনের ভূখন্ডকে মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে এসব অস্ত্র রাশিয়ায় ব্যবহার করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। টুইটারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ বলেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। অস্থায়ীভাবে দখল হওয়া অঞ্চলগুলো শত্রুমুক্ত করতে হবে। আমাদের জনগণের জীবন বাঁচাতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন এই অস্ত্র শুধুমাত্র আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অঞ্চল দখলমুক্ত করতে ব্যবহার করবে। রাশিয়ার ভূখন্ডে ব্যবহার করা হবে না। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতলি অ্যান্টোনভ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ওয়াশিংটন কিয়েভে যে প্রাণঘাতী অস্ত্র পাঠাচ্ছে, সেটা তাদের নিষ্ঠুরতা ও হতাশাকে তুলে ধরেছে।

Share.