ঢাকা অফিস: স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ হলে বদলে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার আর্থ-সামাজিক কাঠামো। এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের চাকা বদলে যাবে। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর দুইপাড়ে সংযোগ সড়কের সঙ্গে চালু হয়েছে সিক্সলেনও। সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি নদীর দুই পাড়ে কল-কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এ আশায় বুধ বেঁধে আছেন এ অঞ্চলের কৃষক, যুবক, শ্রমিক তথা কর্মজীবী প্রতিটা মানুষ। সড়ক পথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটি ১৯৮৬ সালে চালু হয়। যেটি বর্তমানে মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই নৌরুটে শীতে ঘন কুয়াশা, বর্ষায় তীব্র স্রোতে ও গ্রীষ্মে নাব্য সংকটে নৌযান চলাচল ব্যহত হওয়ায় ঘাটে আটকা থেকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আশায় বুধ বেঁধে আছে পদ্মা সেতু চালুর অপেক্ষায়। পদ্মা নদীর উভয়প্রান্তে এক সময় বলতে গেলে জনশূন্য ছিল। কিন্তু পদ্মা সেতুকে ঘিরে দুই পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান পাল্টে যাচ্ছে। সেতুটি চালুর অপেক্ষায় সবচে বেশি আশায় বুক বেঁধেছেন প্রান্তিক কৃষকরা। রাজধানীর ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন তারা। এদিকে পদ্মা সেতুর সঙ্গে ১৪ কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার সিক্স লেনও চালু করা হয়েছে। এই সেতুকে ঘিরে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শেখ হাসিনা হেলথ টেকনোলজি, শেখ রাসেল আইটি পার্কসহ বেশকিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এসব বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের চাকা। কর্মসংস্থান পাবেন এই অঞ্চলের বেকার যুবকরা। বহুমুখী পদ্মা সেতু শুধুমাত্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, পুরো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণও বয়ে আনবে বলে বিশ্বাস এই অঞ্চলের মানুষের।
পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে বদলে যাবে ২১ জেলার কাঠামো
0
Share.