বিনোদন ডেস্ক: করোনার প্রকোপ শুরুর আগে থেকেই চলচ্চিত্রে মন্দা ভাব। বর্তমানে একেবারেই অচলাবস্থা বিরাজ করছে এ অঙ্গনে। একদিকে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন শিল্পী সমিতির সভাপতি-সম্পাদক মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বয়কট করেছে, অন্যদিকে সম্মানজনক সমাধান না হলে ১৮ সংগঠনের সঙ্গে কেউ কাজ করবেন না বলে আলটিমেটাম দিয়েছেন মিশা সওদাগর। তবে নিজেকে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন তথা চলচ্চিত্র পরিবারের প্রধান দাবি করে মিশা-জায়েদকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বয়কটের অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি বলে মত দিয়েছেন চলচ্চিত্রের মিয়া ভাইখ্যাত সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ওরফে চিত্রনায়ক ফারুক। সম্প্রতি দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, ‘১৮ সংগঠন, মানে চলচ্চিত্র পরিবারের প্রধান আমি। আমাকে না জানিয়ে ১৮ সংগঠন এমন কোনো ঘোষণা দিতে পারে না। আর যদি দেয়, তার আগে সাধারণ সভা করে ১৮ সংগঠন নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র পরিবার বিলুপ্ত করতে হবে।’ ফারুক মনে করেন, শিল্পীদের ভালোবাসা দিয়ে, আদর দিয়ে কথা বলে যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। এখানে আলটিমেটাম বা বয়কট করে কোনো সমাধান হবে না। শাকিব খানকে যখন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়, সে সময়ও তিনি ভালোবাসা দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন।
দেখুন পুরো সাক্ষাৎকার :বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর-জায়েদ খানকে বয়কটের প্রতিবাদে গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় সমিতির পক্ষ থেকে বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে আলটিমেটাম দেওয়া হয়, সাত দিনের মধ্যে সম্মানজনক সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির কেউ কাজ করবেন না চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠনের সঙ্গে।গত ১৫ জুলাই বিএফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন করে চলচ্চিত্রের ‘স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড’র অভিযোগে অভিনেতা মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বয়কটের ঘোষণা দেয় চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন। ঘোষণায় বলা হয়, যদি এ দুই অভিনেতাকে নিয়ে কোনো পরিচালক বা প্রযোজক কাজ করেন, তাহলে তাঁদেরও সদস্যপদ বাতিল করা হবে। অন্যদিকে, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও সভাপতি মিশা সওদাগরের পদত্যাগ চেয়ে ১৯ জুলাই রাস্তায় নামেন সদস্যপদ হারানো শিল্পীরা। তাঁদের দাবি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৮৪ জনের সদস্যপদ বাতিল করেছেন জায়েদ খান। এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেছেন মিশা সওদাগর। তাই এ দুজনের পদত্যাগ চেয়ে একত্র হন তাঁরা।