পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা

0

ঢাকা অফিস:  আজ সাকল থেকে শুরু হয়েছে প্রথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। সাকল ১১টার সময় শরু হওয়া পরীক্ষা শেষ হয়েছে দুপুর ১২টায়। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানায়, সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (২০২০) লিখিত পরীক্ষা শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ২২টি জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে’ বলে প্রচার করা হয়। প্রথম ধাপে ২২ এপ্রিল ২২টি জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। আর আগামী ২০ মে দ্বিতীয় ধাপে ৩০ জেলায় এবং ৩ জুন তৃতীয় ধাপে ৩১টি জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি, কোনও সুযোগ নেই। যারা ফেসবুকে এই প্রচার চালাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে এবারের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানায়, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এরই মধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে। শিক্ষক ঘাটতি মেটোতে সর্বশেষ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শূন্যপদে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

Share.