বাংলাদেশ থেকে পটুয়াখালী প্রতিনিধি: ঈদের পঞ্চম দিনে পর্যটকদের পদারচারনায় মুখরিত কুয়াকাটা সৈকত। হাজার হাজার পর্যটকের উন্মদনায় প্রানচাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে। ঈদের প্রথম দিনে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পর্যটক কম থাকলেও বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই সৈকতে এসকল পর্যটকের আগমন ঘটে। সৈকতের বালিয়াড়িতে ছোট বড় আছড়ে পড়া ঢেউয়ের সঙ্গে নিচে গিয়ে হইহুল্লোড় মেতেছেন। অনেকে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কোন প্রিয়জনদের সাথে সেলফি তুলছেন। এছাড়া তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, ঝাউবাগান ও গঙ্গামতি সৈকত সহ সকল পর্যটন স্পটে রয়েছে এখন পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। পর্যটকদের ভীড়ে বুকিয় বেড়েছে আবাসিক হোটেল মোটেল গুলোতে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বেঞ্চি ব্যবসায়ী মো: ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, আজকে অনেক পর্যটক বেড়েছে। এভাবে পর্যটক আসলে পিছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মোঃ জোসেফ বলেন, এর আগও কুয়াকাটা এসেছি তখন মহাসড়ক ভালই ছিল, এখন পদ্মা সেতু চালু হওরাপর যানবাহন বেড়ে গেছে রাস্তাও খারাপ হয়ে গেছে। তারমধ্য পাখিমারা-মহিপুর রাস্তার বেহাল দশা। এটা জরুরি মেরমত করা উচিত। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল অউনার এসোসিয়েশন সাধারণত সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ জানান, আজকে ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে, প্রায় হোটেলেই বুকিং রয়েছে। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রস্তুত আছি । পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, গত দুদিনের চেয়ে আজকে প্রচুর পর্যটক বেড়েছে। আগামী পর্যটন সিজনের আগে পাখিমারাহতে শেখ রাসেল সেতুর থ্রি পয়েন্ট পর্যন্ত মেরামত করা জরুরী। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কুয়াকাটা পর্যটক অনেক বেড়েছে। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ফোরলেন বাস্তবায়িত হলে আরো পর্যটক বাড়বে। বিচ-ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসন, মহিপুর থানা পুলিশ, কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ,টুরিস্ট পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
0
Share.