বাংলাদেশ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান স্থানীয় কাউন্সিলরের আর্শিবাদপুস্ট ক্যাডার ফাটা আজাদুলের বিরুদ্ধে আপন চাচাতো ভাইয়ে নাবালিকা কন্যাকে জিম্মি করে ৬ হতে ৭ বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর হতে অভিযুক্ত ফাটা আজাদুলের গ্রাম জামালপুরসহ গোটা পলাশবাড়ী উপজেলা বিষয়টি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য শুরু পাশাপাশি গ্রামবাসী ভিতরে ব্যাপক ক্ষিপ্ততা দেখা দিয়েছে। অভিযুক্ত ফাটা আজাদুল পলাশবাড়ী আর্দশ ডিগ্রী কলেজের পিয়ন হিসাবে কর্মরত রয়েছে। সে জামালপুর গ্রামের মৃত আব্বাস আলী আকন্দের দ্বিতীয় ছেলে।এজাহার সুত্রে ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় এরপর প্রায় ৬ হতে ৭ মাস পূর্বে বিবাদীর ২ দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে শাহরিয়ার (৮) কে কুকুর কামড় দেওয়ায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এরপর এদিন সন্ধ্যায় শাহরিয়ার কে সাথে নিয়ে ফাটা আজাদুলের সহিত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য ফাটা আজাদুলের দ্বিতীয় স্ত্রী শাপলা বেগম ভুক্তভোগী নাবলিকা কন্যাকে তাহার স্বামী ফাটা আজাদুলের সহিত তাহার ছেলে কে নিয়ে ডাক্তারের নিকট রিক্সা যোগে পাঠিয়ে দেয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফিরে আসার সময় রিক্সা বা ভ্যান যোগে না এসে পলাশবাড়ী বন্দর হতে জামালপুর গ্রামে জমির আইলের পায়ে হাটা রাস্তা দিয়ে এসে জামালপুর গ্রামের জৈনক সাজু মিয়ার পানের জমির পিছনে গাছের বাগানের মধ্যে জোড় পূর্বক নবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করে নগন্য ছবি তুলে ব্লাক মেইল করে বিষয়টি বাড়ীতে গিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য বলে। এরপর নগন্য ছবি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন প্রকার খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। অভিযুক্ত ফাটা আজাদুল এই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন লোকচক্ষু আড়ালে নিজ বসতবাড়ীতে ও বসতবাড়ীর পাশে নানা স্থানে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ৬ হতে ৭ বার ধর্ষণ করে। এরপর ফাটা আজাদুল নিজ বসতঘরে নবালিকা কন্যার সাথে এমন মিলামেশা করা কালে আজাদুলের স্ত্রী শাপলা বিষয়টি বুঝতে পেরে সেও তার স্বামীর মতো আমার কন্যার নিকট সকল কিছু শুনিয়া গোপনে ভিডিও ও অডিও রেকর্ড করে সেও বিষয়টি কাউকে কিছু না বলার জন্য নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখায় এবং তাহার সকল কথা প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে সে যেভাবে চলতে বলে সেভাবে চলতে হবে না হলে সে তার এসব প্রমাণ ফাস করে দিবে মর্মে জিম্মি করে রাখে। এরপরে অভিযুক্তদের অজান্তে তাদের করা অডিও রেকর্ড ফাস হলে গত ২০ মার্চ ২০২১ তারিখে নবালিকা কন্যার পরিবার বিষয়টি জানতে পারে এবং নবালিকা কন্যার নিকট উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সে সবকিছু তার পরিবারের নিকট খুলে বলে। সে আরো জানায় তাকে জোড় পূর্বক মেলামেশা করে ভিডিও করে রাখতো চাচা লম্পট চাচা ফাটা আজাদুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাপলা বেগম। এসব ভিডিও প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে নবালিকা কন্যাকে জিম্মি করে ফাটা আজাদুল তার লালসা মেটাতো এবং তার স্ত্রী শাপলা বেগম নবালিকা কন্যার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিজ বসতবাড়ী কাজ কাম ও তার ছোট ছেলেকে দেখা শুণা করতে বাধ্য করতো। যখনি সে তাদের এসব কাজে অস্বীকৃতি জানাতো তখনি তাকে এসব অডিও ও ভিডিও প্রকাশ করার ভয়ভীতি প্রর্দশন করিত।
এঘটনায় এলাকা জুড়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপকভাবে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে । এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।এর আগে তার বিরুদ্ধে শালিকার কন্যার সাথে অবৈধ মেলামেশা করা কালে হাতে নাতে আটক হওয়ার পর সে ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেংঙ্কারি ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে।স্থানীয়রা এ বিষয়ে বলেন, ফাটা আজাদুল স্থানীয় মাস্তান সুদের ব্যবসা তার মুল কর্ম এরপাশাপাশি বিগত বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময়ে তারা যে অন্যায় অত্যাচার বেবিচার ও সুদের কারবার করতো বর্তমান সময়ে সে একই অপর্কম চালিয়ে যাচ্ছে উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মাসুদ করিম প্রধানের নাম ভাঙ্গিয়ে। বিগত সময়ে গোটা উপজেলা জুড়ে বিএনপির ক্যাডার ও ত্রাস হিসাবে চিনলেও বর্তমানও সে এলাকায় ত্রাস হিসাবে ব্যাপক ক্ষমতাশালী ব্যক্তি তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করলে পড়তে হয় নানা হুমকি ধামকিতে। বর্তমান সরকারের সময়ে সে ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাপলা বেগম স্থানীয় গরিব অসহায় মানুষ গুলোকে নানা ধরণের সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বেশ কিছু পরিবারের নিকট কয়েক লক্ষটাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কাজ না হওয়ায় এসব টাকা উত্তোলনে বছরের পর বছর ঘুড়তে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। তারা আরো বলেন, এই নারী লোভী ফাটা আজাদুল অত্র এলাকার নারীদের নানা ভাবে যৌন হয়রানি করা ছাড়াও এলাকার বাহিরে একই কাজে লিপ্ত ছিলো বিভিন্ন সময়ে সে হাতে নাতে ধরা পরে জেল জরিমানা দিয়েছে। তারা এই নারী লোভী লম্পট ফাটা আজাদুলে দৃষ্ঠান্ত মুলক সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবী করেছেন।অত্র এলাকার কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মাসুদ করিম প্রধান বলেন, ওয়ার্ডের সকল ভোটার আমার কেউ যদি আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কোন প্রকার অপকর্ম করে তাহলে তার দায় অপরাধিকে নিতে হবে। আর আমার মায়ের পেটের ভাইও যদি কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকে তবে আমি চাইবো যথাযথ আইনে তার দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তি হোক। সরকারি সুবিধা পেতে টাকা লেনদেনের বিষয়ে আমি আমার ওয়ার্ডের মসজিদে একাধিকবার সর্বসাধারণ কে বলেছি নিষেধ করেছি এরপরে কেউ যদি আর্থিক লেনদেন করে তাহলে এর প্রতিরোধ করবো কি ভাবে। তিনি উক্ত ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অপরাধির দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেছেন।এদিকে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির একজন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বলেন , ফাটা আজাদুল বিগত চারদলীয় ঐক্যজোট সরকারের সময় জামাতি ইসলামী হতে যুবদলে যোগ দিয়েছিলো। এরপর সে ক্ষমতাসীন সময়ে পলাশবাড়ী যুবদলে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে ও আন্ডার এরিয়ার এক নং ক্যাডার হিসাবে কাজ করতো।তবে বর্তমান সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে সে কোন পদে নেই।এবিষয়ে পলাশবাড়ী আর্দশ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুলার রহমান চৌধুরী তোতা বলেন, আজাদুল ইসলাম আমাদের কলেজের পিয়ন হিসাবে কর্মরত রয়েছে। তাহার এহেন কর্মকন্ডে আমরা কলেজ পরিবার তিব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সেই সঙ্গে উক্ত ঘটনার তদন্ত পুর্বক সঠিক ও যথাযথ দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছি।তবে অভিযুক্ত ফাটা আজাদুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাপলা বেগম পলাতক থাকায় তাদের কোন মন্তব্য বা বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।অন্যদিকে থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়া পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে অপরাধি যত শক্তিশালী হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।এঘটনায় অভিযুক্ত ফাটা আজাদুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাপলা বেগমের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছে ভুক্তভোগী নাবালিকা কন্যার মা । ভুক্তভোগী নাবালিকা কন্যার মা ও বাবা অভিযুক্ত আজাদুল ও তার স্ত্রী শাপলা বেগমের যথাযথ ভাবে আইনে মাধ্যমে বিচার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি মৃত্যুদন্ড কামনা করেছেন।