বাংলাদেশ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : করোনার এই সময় কালে সারাদেশে ন্যায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো বন্ধ থাকলেও তাদের অনয়িম দুর্নীতি থেমে নেই অভিনব কায়দায় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম আব্দুস ছালামের যোগসাযসে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের সতত্যা পাওয়া গেছে আজ দৃশ্য মান অনিয়ম দূর্নীতি হলেও দেখার কেই নেই আর বলারও কেই নেই। বিশেষ একজন ব্যক্তি নির্দেশে এসব অনিয়ম দূর্নীতি করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছে এ শিক্ষা অফিসার । উপজেলার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সর্বসাকুল্যে ১০ হাজার টাকা খরচের বিপরীতে ২২ হাজার টাকার রশিদ দেয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হাতে। যেখানে উপজেলার ২১৭টি প্রতিষ্ঠান হতে ২৬ লক্ষ ৪ হাজার টাকা হরিলুট করেছে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের যোগসাজসে একটি বিশেষ চক্র।
সরকার সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক হাজিরা শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। নানা অনিয়মের কারণে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন বন্ধ করে দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর। এই নির্দেশনা অমান্য করে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার এ কে এম আব্দুস ছালামের নির্দেশে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় গত অর্থ বছরের স্লিপ ফান্ড থেকে ২১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছে বিদ্যালয় গুলোর প্রধান শিক্ষকগণ। কিন্তু ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন নিয়ে তুঘলকি কারবার চলােয় পলাশবাড়ী উপজেলায় শিক্ষক শিক্ষিকাসহ সচেতন মহলের মধ্যে চলছে নানা গুজন। এমনকি পূর্বে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন অমান্য করে নিম্নমানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে এসব মেশিন প্রদান করা হয়ে তবে এসব মেশিন এখনো স্থাপন করা না হলেও ইট মধ্যে ২২ হাজার টাকার ভাইচার দিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। মাত্র ৯ হাজার টাকা মূল্যের নিম্নমানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ২২ হাজার টাকায় ক্রয় করতে বাধ্য করা হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের। প্রতিটি মেশিনে প্রায় ১২ হাজার টাকা করে বেশি নেয়া হচ্ছে বলে এ অভিযোগের সতত্য পাওয়া গেছে। ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সিন্ডিকেটের হাতে উঠছে প্রায় ২৬ লাখ টাকা। এদিকে, গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ৩৮.০১.০০০০.৭০০.৯৯.০০৩.১৮-৬৩২/
অন্য একটি বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার একজন প্রধান শিক্ষক জানান, ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে এই নিম্নমানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। ক্লাস্টার ভিত্তিক এই হাজিরা মেশিন নিতে হচ্ছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকরা এই নিম্নমানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন নিতে ইচ্ছুক নয়। এরপরও উপজেলা শিক্ষা অফিস শুধু নিজেদের কমিশন নিশ্চিত করার স্বার্থে তাদের এই মেশিন নিতে বাধ্য করছেন। সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট করে দেওয়ার কথা স্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম আব্দুস ছালাম জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশক্রমে। তারা শুধু শিক্ষকদের এসব ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন করার কথা বলেছেন। একারণে শিক্ষা অফিসের নির্দেশেই অ্যাকটিভ পাওয়ার লিমিটেড থেকে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় করছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও কেন হাজিরা মেশিন নেয়া হচ্ছে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গত ২১ জানুয়ারির চিঠির আলোকেই হাজিরা মেশিন স্থাপন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস ছালামের দেয়া তথ্য মতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখা যায়, গত ২১ জানুয়ারির চিঠিতে পূর্বে ক্রয়কৃত হাজিরা মেশিন যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা জানতে চাওয়া হলেও নতুন করে ক্রয় করার আদেশ দেয়া হয়নি। এদিকে তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, অ্যাকটিভ পাওয়ার লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান হতে ডিজিটাল মেশিন সরবরাহ করছে শিক্ষা অফিস। ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিস নিম্নমানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন অতিরিক্ত মূল্যে সরবরাহ করছে। অথচ এসব মেশিন ক্রয়ের বিষয়ে জানেন না খোদ উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একে এম মোকসেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ। তিনি জানান আমি উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি হলেও আমাকে উপরোক্ত বিষয়ে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অমান্য করে এসব মেশিন কিনতে প্রধান শিক্ষকদের বাধ্য করেছেন। এসব বিষয় গুলো তুলে ধরে জেলা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে জানিয়েছি। এসবের সাথে আমাদের কোন সম্পৃততা নেই বা আমি এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে চাই । তিনি আরো বলেন অনিয়ম ও দূর্নীতি নিজে করবো না এ উপজেলায় কাউকে করতেও দিবো না। উল্লেখ্য , বিদ্যালয় পরিচালনা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও নানা প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দূর্নীতি চলমান ধারাবাহিকতায় এ কে এম আব্দুস ছালামের নেতৃত্বে পলাশবাড়ী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে চলছে লাগামহীন দুর্নীতি বায়োম্যাট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে অনিয়ম,প্রধান শিক্ষকদের টিএ-ডিএর লক্ষ লক্ষ টাকা আতœসাৎ,সংস্কার মেরামত প্রতিটি বিলে ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন , সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব প্রদানে অনিয়ম,ও বদলী বানিজ্য লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস ছালাম নিজের ইচ্ছামত এসব দুর্র্নীতি ও অনিয়মের সাথে সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগের সতত্যা পাওয়া গেছে। উপজেলার শিক্ষক ও কর্মচারীরা আরো জানা যায় বেশ কয়েকজন শিক্ষক নেতার সহযোগিতায় ও স্থানীয় একটি বিশেষ চক্রের সহযোগীতায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত আব্দুস সালাম তিনি এসব কর্মকান্ড চালানোর সাহস পাচ্ছেন। পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে থাকছে ধারাবাহিক প্রতিবেদন দেখতে চোখ রাখুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন ।