বাংলাদেশ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনা সিন্ডিকেটের মুল হোতা হিসেবে পরিচিত মনিরুজ্জামান ফুল মিয়া গংরা। বার বার লোকসানের অভিযোগ এনে সরকারের সাথে করা চুক্তি ভঙ্গ করলে ও খাদ্য বিভাগ থেকে এসব মিল চাতাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি জেলা ও উপজেলা খাদ্য বিভাগ। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সুত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় প্রায় ৯০ টির অধিক মিল চাতাল রয়েছে। নামে বেনামে করা এসব মিল চাতাল ব্যবসায়ীর মধ্যে প্রায় অর্ধশত মিল চাতালের একক নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন সিন্ডিকেটের মুল হোতা ডিও ব্যবসায়িখ্যাত ফুল মিয়া। অধিক মুনাফা হলে তারা সরকারের সাথে পে অর্ডারের মাধ্যমে চুক্তি বদ্ধ হয়ে থাকে।আর লোকসান হলে সরকারকে দেখানো হয় বৃদ্ধাংগুলি। গত বোরো মৌসুমে এসব মিল মালিক সরকারের সাথে চুক্তি বদ্ধ হলে ও অধিকাংশ মিলার সরকারি চুক্তি ভঙ্গ করে।চাল প্রদানে ব্যর্থ হয়। অদৃশ্য কারণে চুক্তি ভঙ্গ করা এসব মিলারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলে ও অদ্যাবধি এসব মিলারদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। চলতি আমন মৌসুমে এই উপজেলায় মোট ১১৬৯ মেঃটন সিদ্ধ চাল প্রতি কেজি ৩৭ টাকা দরেও ২৫ মেঃটন আতব চাল প্রতি কেজি ৩৮ টাকা নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্যি লোকসান গুনতে হবে বিধায় এই মৌসুমে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের সাথে মিল মালিকদের চুক্তি বদ্ধের সময় সীমা নির্ধারন করা হলে ও উল্লেখিত তারিখ পর্যন্ত কোন মিলার সরকারের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়নি। সময় বাড়িয়ে চুক্তি সম্পাদনের জন্য পরবর্তী তারিখ ১০ ডিসেম্বর করা হলে খাদ্য সিন্ডিকেটের মুল হোতা ফুলমিয়া গং এর কারনে এ চুক্তি করা সম্ভব হয়নি।কারন বিএনপির এই নেতা একাই অর্ধশত মিল চাতালের চুক্তিপত্র সম্পাদন করে থাকেন। এবং স্থানীয় উন্নয়ন মূলক কাজের ডিও কিনে সেসব চাল এসব মিলের বিপরিতে সরকারি ভাবে ক্রয় করা হয়। এভাবেই যেখানের চাল সেখানে থাকে এতে শুধু কাগজের পরিবর্তন করা হয়। আরো জানা যায়, তার আংঙ্গুলের ইশারায় চলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয়। তিনি এ কার্যালয়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকেন বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। ধান চাল ক্রয়ে ব্যর্থতার এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।উপজেলায় খাদ্য সিন্ডিকেটের এমনি বেহাল অবস্থা বিরাজমান থাকলে গত মৌসুমের ন্যায় এবারো পলাশবাড়ী উপজেলায় সরকারের ধান চাল ক্রয় ব্যর্থ হবে বলে আশংঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও এ উপজেলায় ব্যাপক খাদ্য সংকট হওয়ার আশংঙ্কা স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন সচেতন মহল। তারা উপরোক্ত বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক একাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহিৃন্ত করে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পলাশবাড়ীতে সরকারের দুঃসময়ে পাশে নেই, ধান চাল সিন্ডিকেট এর মুল হোতা ফুল মিয়া
0
Share.