পলাশবাড়ী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দূর্নীতির ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

0

বাংলাদেশ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) একেএম আঃ ছালাম-এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ছাড়াও সরকারী অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষক হয়রানি ও ঘুষসহ নানা অভিযোগ উঠায় জনস্বার্থে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ফেরদাউছ মিয়া, মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে (পিইডিপি-৪ এবং রাজস্ব খাত)-এর আওতায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ২১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে তার মধ্যে ৫/৬টি প্রকল্প হতেই (ইউডিএ) আব্বাস আলী ও হিসাব সহকারি আসাদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) একেএম আঃ ছালাম বরাদ্দকৃত অর্থ বিধি অনুযায়ী শিক্ষকদের এসটিডি একাউন্টে জমা না করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিপ্রায়ে সমুদয় অর্থ শিক্ষা অফিসের এসটিডি একাউন্ট সোনালী ব্যাংক পলাশবাড়ী শাখার হিসাব নম্বর (৫১১২৮০৩০০০৩৩৭) জমা করে। প্রকল্প সমুহের মধ্যে ক্ষুদ্র মেরামত ও সংস্কার কাজে পিইডিপি- ৪ এবং রাজস্ব খাতে ৬৭টি বিদ্যালয়ে ২ লক্ষ করে এবং ২৯টি বিদ্যালয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার করে মোট ১ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। স্লিপ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ২০টি বিদ্যালয়ে ৭০ হাজার করে ১৪ লক্ষ, ১৯৬টি বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার করে ৯৮ লক্ষ টাকা। ১৩৫টি বিদ্যালয়ে রুটিন মেরামত কাজে ৪০ হাজার করে ৫৪ লক্ষ ও ২১৬ বিদ্যালয়ে প্রাক- প্রাথমিক শিখন-শিখানো ১০ হাজার করে ২১ লক্ষ ৬০ হাজার এবং দূর্যোগ কালীন মালামাল ক্রয় বাবদ ৫ হাজার করে ১ লক্ষ ৮০ হাজার সহ ৫ টি প্রকল্পে মোট ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। শিক্ষা কর্মকর্তা মোট টাকার সাড়ে ৭ পাসেন্ট হারে সরকারি কোষাগারে ভ্যাট জমা দিলেও শিক্ষকদেরকে ১০ থেকে১৫ পাসেন্ট হারে জমা দেখিয়ে সকারের প্রায় ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে ক্ষুদ্র মেরামত-সংস্কারের ৫ টি বিদ্যালয়ে ডাবল বরাদ্দ দিয়ে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকদের বাৎসরিক টিএ বিল গুটি কয়েক শিক্ষককে ৫’শ টাকা করে দিয়ে শিক্ষকদের প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা আত্নসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ক্ষুদ্র মেরামত ও সংস্কারের চেক নিতেও শিক্ষকদের নগদ ঘুষ গুণতে হয়েছ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এভাবে (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আঃ ছালাম প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম যেমন, সঠিক সময়ে অফিস না করা, (ইউডিএ) আব্বাস আলীকে দিয়ে শিক্ষক হয়রানি, শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ, ঘুষ ও বদলী বানিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ফেরদাউছ মিয়া জনস্বার্থে বাদী হয়ে মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন। এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আঃ ছালাম বলেন, তাহার বিরুদ্ধে উৎথাপিত অভিযোগ ভিত্তিহীন ভ্যাট ও ট্যাক্স ১০ পার্সেন্ট হারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী উক্ত সংবাদকর্মী সঠিক তথ্য যাচাই না করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার নামে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েছেন। আমাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে অডিট হলে উক্ত অভিযোগের সত্য মিথ্যা যাচাই করা হলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও তিনি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমুলক তথ্য প্রকাশ করে তাহার সম্মানহানি হওয়ায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলার প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন বলে দাবী করেন ।অন্যদিকে পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার এহেন কর্মকান্ড সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সচেতন শিক্ষক মহল জোর দাবী জানিয়েছেন।

Share.