বাংলাদেশ থেকে বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামের খামারি আবুল হোসেন শেখ তিন বছর ধরে তিনটি গরু পরম যত্নে লালন-পালন করে আসছেন। এর মধ্যে ভৈরবের ওজন ১৮ শ’ কেজি। এছাড়া মধুমতি ১৭ শ’ কেজি আর সুখী ১৩ শ’ কেজি ওজনের।কোরবানি ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে পশু বিক্রি নিয়ে দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে বাগেরহাটের খামারিদের। বিশেষ করে কোটি টাকা মূল্যের তিনটি গরু ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে শংকায় রয়েছেন প্রত্যন্ত এলাকার খামারি। শঙ্কার কিছু নেই জানিয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে, অনলাইনে বিক্রির জন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।করোনার কারণে গত বছর কোরবানিতে বিক্রি করতে না পারায় এবারও শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। এগুলোর পিছনে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন হাজার টাকা ব্যয় হয়। দেশীয় ফল-মূল আর ঘাস-কুটো খাইয়ে বড় করছেন। বর্তমানে এগুলোর দাম ধরা হয়েছে এক কোটি ৫ লাখ টাকা।ন্যায্যমূল্য পেলে এবারই বিক্রি করতে চান খামারি। খামারের মালিক আবুল হাসান শেখ বলেন, ‘গতবছর বিক্রি করতে পারিনি। এ বছর কোরবানিতে বিক্রি করার ইচ্ছা। তিনটি গরু এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা দাম চেয়েছি।’ন্যায্যমূল্য পেতে অনলাইনে জেলার বাইরের ক্রেতাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গবাদি পশু যেন ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে এ জন্য আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। তারা সহযোগিতাও নিচ্ছে।’প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বাগেরহাটে কোরবানির জন্য ৩৬ হাজার ৯৮৫টি পশু প্রস্তুত রয়েছে।
পশু বিক্রি নিয়ে দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে বাগেরহাটের খামারিদের
0
Share.