স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত টি-২০ সিরিজ শুরু হতে আর একদিন বাকি। এরই মধ্যে নতুন করে সামনে এসেছে বাংলাদেশ দলের পাওয়ারপ্লেতে রানখড়া ইস্যু। যদিও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সদ্য সমাপ্ত তিন টি-২০-তে যথাক্রমে ৫০, ৪২, ৪৩ রানের মোটামুটি শুরু পেয়েছিল দুই ওপেনার সৌম্য-নাঈমরা।কিন্তু তবুও দল পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই। বাইশ গজের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে টিম টাইগার্সের পুরনো রেকর্ড ভাবাচ্ছে পুরোদমে। অজিদের সঙ্গে মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে ভারতীয় ক্রিকেটবিষয়ক সাইট ‘ক্রিকবাজে’ও পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের দুর্বলতা আছে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এসেছে।টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশের অন্যতম দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম। যাদের ব্যাটিং গড় যথাক্রমে ১১৮.৩৪ এবং ১২০.০৮। অন্যদিকে আরেক ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসাইন শান্ত যার ব্যাটিং গড় ১৩০-এর কাছাকাছি। কিন্তু তবুও টি-২০ ফরম্যাটে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। সাবেক হেডকোচ খালেদ মাহমুদও শান্তর ব্যাটিং সক্ষমতা নিয়ে ক্রিকবাজের সঙ্গে কথা বলেছেন।তিনি বলেন, ‘শান্ত স্ট্রাইক ধরে রাখার মাধ্যমে চাপহীনভাবে খেলতে পারে। যার দরুণ ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে সে দারুন করছে।’ আরও বলেন, ‘পাওয়ারপ্লেতে ভালো রান সংগ্রহ করা ম্যাচ জেতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে, পরপর কয়েকটা উইকেট পড়ে যায়, তবুও অন্তত ৫০-৫৫ রান পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে আসা উচিত।’খালেদ মাহমুদ আরও যুক্ত করেন, আমাদের আন্দ্রে রাসেল কিংবা হার্দিক পান্ডিয়াদের মতো হার্ডহিটার প্লেয়ার নেই যারা শেষের দিকে হ্যাজলিউড কিংবা বুমরাহদের ইয়র্কারে ছয়চার হাঁকাতে পারবে। তাই আমাদের উচিত শুরুটা ভালো করা। তাহলে ম্যাচের মোমেন্টাম ধরে রাখা যাবে।যদিও বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স দলের ব্যাটিং নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। সম্প্রতি ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ বলেন, ‘আমি মনে করি জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আমরা অনেক ভালো খেলেছি।’তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় পাওয়া। আমরা কিন্তু প্রত্যাশিত সেই জয়টাই পেয়েছি। দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতেছি।প্রিন্স আরও বলেন, পাওয়ারপ্লেতে রান কম উঠলেও পরের ব্যাটসম্যানরা সেটা পুষিয়ে দিয়েছে। তাই আমি মনে করি এটা বড় কোন ইস্যু নয়।আগামী ৩ আগস্ট থেকে মিরপুরের শেরেবাংলায় শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ। আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় টি-২০ বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজটি দলের জন্য বড় পরীক্ষাও বটে। আরও বড় পরীক্ষা বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্যও। কারণ টিম ক্যাঙ্গারুর মিচেল স্টার্ক কিংবা অ্যাডাম জাম্পাদের কতটুকু সামলাতে পারে দল এখন এটাই দেখার বিষয়।
পাওয়ারপ্লেতে রানখরা ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে
0
Share.