ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ফাঁস হওয়া একটি অডিও ক্লিপ নিয়ে তোলপার শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। চলছে ব্যাপক আলেঅচনা-সমালোচনা। গত শনিবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে অডিওটি। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী দাবি করেছেন, দীর্ঘ ১১৫ ঘন্টার অডিও ক্লিপটি সাড়ে ৩ লাখ মার্কিন ডলারে ডার্ক ওয়েবে নিলামের জন্য রাখা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, অডিওটিতে শাহবাজকে এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতারা দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর পরিবারের ব্যবসায়িক স্বার্থকে সামনে রেখে সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, ফাওয়াদ চৌধুরী মিডিয়াকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) অফিস সুরক্ষিত ছিল না এবং এখন ফাঁস হওয়া অডিওটি ৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যে ডার্ক ওয়েবে নিলামের জন্য রাখা হয়েছে। ফাঁস হওয়া অডিওটি এটাই নিশ্চিত করেছে যে লন্ডনে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। পিএমও’র অডিও ফাঁস নিরাপত্তা সংস্থাগুলির ব্যর্থতা। বিতর্কিত ফাঁস হওয়া অডিওতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এনের সহ-সভাপতি মরিয়ম, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, আইনমন্ত্রী আজম তারার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং সাবেক এনএ স্পিকার আয়াজ সাদিক এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মধ্যে কথোপকথন শোনা গেছে। প্রথম ক্লিপে কথিতভাবে পিএমএল-এন সহ-সভাপতি মরিয়ম এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের মধ্যে দেশের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল সম্পর্কে কথোপকথন দেখানো হয়েছে, যিনি কঠোর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দলের অভ্যন্তরীণ সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন বলে ডন জানিয়েছে। পিএমএল-এন সহ-সভাপতি প্রকাশ্যে বলেছেন, তিনি পেট্রোল এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন। তার দল সরকারে থাকুক বা না থাকুক এই ধরনের সিদ্ধান্তের মালিক তিনি নন। এর আগে পিএমএল-এন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজের সমালোচনা করেছিলেন ফাওয়াদ। তিনি বলেছিলেন, রাজনীতিবিদ প্রকাশ্যে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু ফাঁস হওয়া অডিওতে তাকে জ্বালানীর দাম বাড়ানোর কথা বলতে শোনা গেছে। অর্থমন্ত্রীর অপসারণের বিষয়ে মন্তব্য করে পিটিআই নেতা বলেছেন, পিএমএল-এন শুধু ইসহাক দারকে ফিরিয়ে আনার জন্য মিফতাহ ইসমাইলকে অপমান করছে। ইসমাইল দীর্ঘদিন ধরে পিএমএল-এনের সেবা করেছেন কিন্তু তার বিরুদ্ধে অসম্মানজনক আচরণ দেখা গেছে। এদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শরিফ অডিও ফাঁসের বিষয়টি আমলে নিয়েছেন এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সানাউল্লাহ বলেন, ফাঁস হওয়া অডিওর তদন্তে সব সংস্থার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত থাকবে। তিনি আরও বলেছিলেন, তদন্তটি নির্ধারণ করবে প্রধানমন্ত্রীর হাউসের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করা হয়েছিল কিনা। তবে মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হাউসের সমস্ত কথোপকথন রেকর্ড করে প্রকাশ করা হলেও তাতে বিব্রতকর কিছু থাকবে না।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপ নিয়ে তোলপার শুরু
0
Share.