ডেস্ক রিপোর্ট: ৯৯ আরোহী নিয়ে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৯৭ জন নিহত হয়েছেন এবং বেঁচে রয়েছেন মাত্র দুই জন। বেঁচে থাকা দুই জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন। এছাড়া যে এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানকার অন্তত ১৯ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলেও জানা গিয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী। শাকিল আহমেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই বিমান প্রথমে মোবাইল টাওয়ারে ধাক্কা মারে, তারপর বাড়ির উপর ভেঙে পড়ে। সিন্ধ প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর জানান, দু’জনকে জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একজনের নাম জুবায়ের ও অপরজন হলেন জাফর মাসুদ যিনি পাকিস্তানের ব্যাংক অফ পাঞ্জাবের প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার পাকিস্তানের জিন্না ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে ভেঙে পড়েছে করাচিগামী এই বিমান। পিআইএর মুখপাত্র আব্দুল সাত্তার জানিয়েছেন, বিমানটি লাহোর থেকে করাচির দিকে উড়ে যাচ্ছিল। করাচিতে অবতরণ করার ঠিক আগেই ভেঙে পড়ে সেটি। অবতরণের ঠিক আগে ওই পাইলট জানান যে ইঞ্জিনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন তিনি। এটিসি বা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে তার শেষ যে কথোপকথনে এমনটি জানা গেছে। পাকিস্তানর এয়ারলাইনসের সিইও এয়ার ভাইস মার্শাল আরশাদ মামিক একটি ভিডিও মেসেজে বলেন, প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল। দু’দিনের রানওয়েই ল্যান্ডিং এর জন্য খোলা ছিল। কিন্তু পাইলট ফের ঘুরে নতুন করে ল্যান্ডিং করার চেষ্টা করেন।
পাকিস্তানে বিধ্বস্ত বিমানের ৯৯ জন আরোহী মধ্যে ৯৭ যাত্রী নিহত,জীবিত-২
0
Share.