পাথর ব্যবসায়ীদের কারনে সোনাই নদী বেরীবাঁধ ক্ষত-বিক্ষত,হুমকীর মুখে রাবার ড্যাম প্রকল্প

0

বাংলাদেশ থেকে ছাতক উপজেলা প্রতিনিধি: ছাতকে কতিপয় অতিলোভী পাথর ব্যবসায়ীর অপরিকল্পিত পাথর ডাম্পিং। আর পাথর লোডিং-আনলোডিংয়ের কারনেএখন হুমকীর মুখে পড়েছে বেরীবাঁধ ও রাবারড্যাম প্রকল্প। ব্যবসায়ী সুবিধার কারনে ফেলোডার ও ট্রাক্টর দিয়ে নৌকায় পাথর লোডিং করতে বেরীবাঁধকে কেটে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। আবার কোন-কোন পাথর ব্যবসায়ী রাবার ড্যামের গোড়ায় পাথর ডাম্পিং করে নৌকায় লোড করতেও দেখা গেছে। সরকারি সম্পদ নষ্ট করে স্থানীয় এসব প্রভাবশালী ব্যবসায়ী দাপটের সাথে ওই স্থানে জমজমাট পাথর ব্যবসা করে যাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাহাদুর-বৈশাকান্দি এলাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলেই শুরু হয় জমজমাট পাথর ব্যবসা। এখানে পাথর সহজে পরিবহনের জন্য বেরীবাঁধকে কেটে বাড়তি সুবিধা নিয়ে থাকে ব্যবসায়ীরা। আবার বর্ষা শেষে ক্ষত-বিক্ষত বেরীবাঁধ মেরামতের কথা বলে তারা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে চাঁদাও আদায় করে থাকে। গত কয়েক বছর ধরে ব্যবসায়ীদের চলে আসা তান্ডবে এখন অস্থিত্ব হারাতে বসেছে সোনাই নদী বেরীবাঁধ। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করলেও অশুভ শক্তির কাছে তাদের হার মানতে হচ্ছে। এদিকে বেরীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আগামী বোরো মৌসুমে পানি সেচের তীব্র সংকট সৃষ্টিরও আশংকা করছেন এখানের কৃষকরা। জানা যায়, বাহাদুর-বৈশাকান্দি এলাকার অনাবাদী জমিকে আবাদের আওতায় আনতে ২০০৮ সালে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সোনাই নদীর উপর রাবারড্যাম ও উভয় পাড়ে স্থায়ী বেরীবাঁধ নির্মাণ করা হয়। রাবারড্যাম প্রতিষ্ঠার পর এখানের কৃষকদের ভাগ্যে সম্ভাবনার এক নতুন দ্বার উন্মুচিত হয়। আর এটা সম্ভব হয়েছে স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, স্থানীয় ইউনুস আলী, আমির উদ্দিন, আবু তাহের, মাও. রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, মোন্তাজ আলী, বিলাল মিয়াসহ লোকজন জানান, বেরীবাঁধটি খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। বাঁধের বিভিন্ন স্থান কেটে ফেলা হয়েছে পাথর পরিবহনের কারনে। বিষয়টি দেখার জন্য স্থানীয় কৃষকরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অন্যতায় রাবার ড্যাম প্রকল্প এক সময় বন্ধ হয়ে যাবে। মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে এখানের ফসলী জমি। বিএডিসি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার খোকন জানান, প্রতি বছরই কোন না কোনভাবে বেরী বাঁধের ক্ষতি করা হচ্ছে। কৃষি এবং কৃষকের স্বার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবী জানান তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান জানান, স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির মাধ্যমে প্রকল্পটি দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সমিতির দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.