ডেস্ক রিপোর্ট: মোবাইলে টানা পাবজি খেলছিলেন বছর উনিশের এক কিশোর। হঠাৎ চিৎকার করে মাটিতে পড়ে যান তিনি। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকার সঙ্গে হৃদরোগের কোনও সম্পর্ক আছে কি না তা স্পষ্ট নয়।ভারতের মধ্যপ্রদেশের দিবস জেলার বাসিন্দা দীপক শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী। তার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে, শারীরিক অক্ষমতার কারণেই দিনের বেশির ভাগ সময় মোবাইল গেম নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। সচরাচর বাইরেও বেরতেন না।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীপক এ বছরই দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা পাস করেছিলেন। তিনি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিও হয়েছিলেন। ঘটনার দিনও তিনি মোবাইলে টানা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে পাবজি খেলছিলেন। সেই সময় তাকে পাড়ার দোকান থেকে একটি দুধের প্যাকেট এনে দিতে বলেছিলেন তার ভাইঝি। এর পরেই বিকট চিৎকার করে মাটিতে পড়ে যান দীপক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের।এর আগে ২০১৯-এর মে মাসে মধ্যপ্রদেশেরই ইনদওরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বছর ষোলোর এক কিশোর মারা যায়। ওই কিশোরও মোবাইলে টানা পাবজি খেলত। ঘটনার দিন টানা ছ’ঘণ্টা পাবজি খেলেছিল সে। চিকিৎসকেরা তখন জানিয়েছিলেন, দীর্ঘক্ষণ এই ধরনের খেলায় অতিরিক্ত অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। তবে এখন মোবাইল ভিডিও গেমটির নতুন সংস্করণে টানা ৩ ঘণ্টার বেশি পাবজি খেলা যায় না।
পাবজি খেলতে খেলতেই ঢলে পড়ে প্রাণ গেল কিশোরের
0
Share.