পুঁজিবাজারে আরও ভালো কিছু আসছে, বাজেটে যুক্ত হচ্ছে নতুন প্রস্তাব

0

ঢাকা অফিস: পুঁজিবাজারের জন্য আরও ভালো কিছু আসছে। বাজেটে যুক্ত হচ্ছে নতুন প্রস্তাব। এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, ‘পাচার হওয়া টাকা যখন আসবে, তার একটি অংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে।’ এদিকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনাযোগ্য। কারণ অপ্রদর্শিত অর্থকে অর্থনীতির মূল স্রোতে আনার লক্ষ্যে এ প্রস্তাব বিবেচনার দাবি রাখে। এমন সব প্রস্তাবনার পর অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে ইতিবাচক মনে করছেন পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আসলে এর থেকে যদি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হয় তাহলে এটা অবশ্যই বাজারের জন্য অনেক বড় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। বাজারের তারল্য প্রবাহ বাড়বে। ফলে বাজার ও বিনিয়োগকারীদের মনে চাঙা ভাব ফিরে আসবে। যদিও পাচার হওয়া টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বাজার অনেক ভালো হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের মতে, পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা যদি বাস্তবায়ন হয়- তাহলে তা বাজারের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। কারণ, এর মাধ্যমে বিনিয়োগের বড় একটা অংশ পুঁজিবাজারে যুক্ত হবে। আর বিনিয়োগ বাড়লে বাজারের গতি বাড়ে এটাই স্বাভাবিক। যদি এই সুযোগ না দেওয়া হয় তাহলে অনেক বড় একটা অর্থ মূল অর্থনীতির বাইরে থেকে যাবে। যা বাজারের জন্য নেতিবাচক। তাই সংশোধিত বাজেটে এই প্রস্তাবনাগুলো অবশ্যই যুক্ত করতে পারে। বাজার সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারাও এমনটাই চান। তারা জানান, কালো টাকা সাদা করা ও পাচার হওয়া অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার বিষয়টি অবশ্যই বাজারের জন্য ইতিবাচক। এদিকে, অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর টানা দুইদিন পুঁজিবাজারে চাঙা ভাব ফিরে এসেছে। সূচক বেড়ে লেনদেন ছাড়িয়ে যায় হাজার কোটির বেশি। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বাড়ে। বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১.২২ পয়েন্ট বা ০.৮০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ছয় হাজার ৪২৫.৭৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৩.৬৫ পয়েন্ট বা ০.৯৮ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৬.০২ পয়েন্ট বা ১.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে এক হাজার ৪০৩.২৫ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩২৭.৯৪ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয় এক হাজার ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবস থেকে ১০২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৯৪৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার। ডিএসইতে এদিন ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯৮টির বা ৫১.৯৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বাড়ে। দর কমে ১৩৫টির বা ৩৫.৪৩ শতাংশের এবং ৪৮টির বা ১২.৫৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়ে যায়। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১২৫.৩২ পয়েন্ট বা ০.৬৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৮৯৮.২৪ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বাড়ে ১৬৫টির, কমে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৩০টির। এদিন সিএসইতে ৮৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।

Share.