ঢাকা অফিস: দেশে পেঁয়াজ ও চালের দাম বেড়েই চলছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বললেন, “পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, আর চিন্তা নাই।” বিমানে চড়া পেঁয়াজ এখনও ইমিগ্রেশন পার হয়ে বাজারে আসতে পারেনি। যতই বিমান দেখাক, আর অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা বলা হোক, সেটি আসলে কানাকে হাইকোর্ট দেখানোর মতো।’ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানগুলো পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ দোকানে দোকানে এমনকি কোথাও বাড়িতে হানা দিয়েছে। ছোট দোকানিরা পুলিশি ঝামেলায় যেতে চান না, তাই তারা পেঁয়াজ দোকানে তুলছেন না।’ রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘পেঁয়াজের সিন্ডিকেট ও মজুতদাররা সরকারের আশ্রয়ে যে জনগণের পকেট কাটছে তা আজ দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আজ পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও হিলির বেশ কয়েকজন পেঁয়াজ আমদানিকারককে রাজধানীর কাকরাইলের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা বলেছেন, বিদেশ থেকে গড়ে মাত্র ৩৮ টাকায় আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৬০ টাকায়। এই পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকারের গিলে খাওয়া সরীসৃপরা জড়িত। পেঁয়াজের জন্য মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে পুলিশের গুলি পর্যন্ত খেতে হয়। সরকার শুধু পেঁয়াজ বা চাল নয় বাজার নিয়ন্ত্রণেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ।’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাজারে পর্যাপ্ত শাক-সবজি সরবরাহ থাকলেও শুধু সিন্ডিকেটের কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর দাম। পেঁয়াজের জন্য হাহাকার চলছে। আজও গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে ৩৮ টাকায় পেঁয়াজ কিনে সিন্ডিকেটের সদস্যরা তা বিক্রি করছেন ২০০ টাকার ওপরে।’ রিজভী বলেন, ‘সরকার এখন কথায় কথায় বলে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নাকি সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আসলে অপ্রিয় হলেও বাস্তবতা এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, শেখ হাসিনা এখন রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তথাকথিত উচ্চপর্যায়েই ঘুরছেন, উড়ছেন। কিন্তু নিচে যে স্বাধীন দেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বার্থ ও সম্মান জড়িত রয়েছে, সেগুলো এখন নতজানুর চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে।’
পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানির কথা মানে কানাকে হাইকোর্ট দেখানো: রিজভী
0
Share.