ডেস্ক রিপোর্ট: ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একমাত্র মুসলিম স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যেই ফ্রান্সের সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মুসলিমদের ওপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের। এমএইচএস কলেজ অ্যান্ড হাইস্কুল প্যারিসের একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন মাধ্যমিক স্কুল। ২০১৫ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ এবং জাতীয় পাঠ্যক্রম অনুসরণ করলেও স্কুলটির অধিকাংশ শিক্ষার্থী মুসলিম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলটির অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমরা ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য উন্মুক্ত একটি স্কুল। এমনকি আমরা ধর্মীয় কোনও বিষয় শেখাই না। তবে স্কুলটির একটি বিষয় অন্যদের চেয়ে আলাদা। স্কুলের মেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় অনুশাসন মানতে পারে এবং চাইলে হিজাবও পরতে পারে। এ বিষয়ে এমএইচএস’র এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, কারণ আমরা মনে করি সবারই তাদের পছন্দের পোশাক পরা উচিত। ২০০৪ সালে মুসলিম মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে হেডস্কার্ফ খুলে ফেলার নিয়ম চালু করে। ফলে স্কুলের গেটে হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য হন মেয়ে শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকেই আসলে মুসলিম মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রেখে পড়াশোনা অনেকটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তবে এমএইচএস এসব শিক্ষার্থীর জন্য ব্যতিক্রমী একটি স্কুল ছিল। কিন্তু গত ১৭ নভেম্বর স্কুলটি পরিদর্শনের পর বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, এর ফলে ১১০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবর্ষের মাঝপথেই স্কুলহারা হতে হলো। চাকরি হারিয়েছেন ১৮ জন শিক্ষক ও সহায়ক কর্মীও।
প্যারিসের একমাত্র মুসলিম স্কুল বন্ধ করলো কর্তৃপক্ষ
0
Share.