‘প্রতারক’ ঈশিতাকে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

0

ঢাকা অফিস: প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ইশরাত রফিক ঈশিতা (৩৪) ও তার সহযোগী শহিদুল ইসলামের (২৯) বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহ আলী থানার পৃথক দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।সোমবার (২ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় ঈশিতা ও শহিদুলকে। তাদের বিরুদ্ধে শাহ আলী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও প্রতারণার মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।বিকেল তিনটার পর রিমান্ডের বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে রোববার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৩ সালে (সেশন ২০০৫-২০০৬) এমবিবিএস সম্পন্ন করেন ইশরাত রফিক ঈশিতা। ২০১৪ সালে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যোগ দেন তিনি। তবে চাকরির ৪ মাসের মাথায় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চাকরিচ্যুত হন। এরপরই শুরু হয় তার বহুমুখী প্রতারণা।খন্দকার আল মঈন বলেন, এমবিবিএসের বাইরে তার আর কোনো ডিগ্রি না থাকলেও তিনি নিজেকে চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবেও পরিচয় দেন তিনি।এমপিএইচ, এমডি, ডিও-সহ নানা ভুয়া বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি ব্যবহার শুরু করেন ঈশিতা। ভুয়া ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হিসেবেও বিভিন্ন মতবাদ প্রচার করতে থাকেন তিনি। চিকিৎসাবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটের গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ, আর্টিকেল বা থিসিস পেপারের ভুয়া প্রকাশনাও ব্যবহার করেন তিনি।শুধু তাই নয়, তিনি নিজেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবেও পরিচয় দেন। করোনাকালেও থামেনি তার প্রতারণা। দুই দফায় ৬০ চিকিৎসককে তিনি সেমিনারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেন। শেষমেশ ধোপে টেকেনি তার বহুমুখী প্রতারণা। পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) হাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার হন ভুয়া বিশেষজ্ঞ ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার ভুয়া প্রতিনিধি পরিচয় দেওয়া বহুমুখী প্রতারক ইশরাত রফিক ঈশিতা (আইপিসি)। ঈশিতার বাবার নাম খন্দকার রফিকুল ইসলাম। ঢাকার কাফরুলে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।র‍্যাবের ওই অভিযানে ভুয়া আইডি কার্ড, ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, ভুয়া সিল, ভুয়া সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র, পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, ৩০০ পিস ইয়াবা, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

Share.