স্পোর্টস ডেস্ক: পিএসজি-ম্যানসিটি ছাপিয়ে এ লড়াইটা দুই কোচের। দুজনের ক্ষুরধার মস্তিষ্কের। মাঠের কৌশলে মুনশিয়ানা দেখানোর। ডাগ আউট ক্যারিয়ারে পেপ গার্দিওলা এবং মরিসিও পচেত্তিনো, অসংখ্যবার নিজেদের মধ্যে মুখোমুখি হয়েছেন। কখনো হেরেছেন স্প্যানিশ, তো কখনো মাত খেয়েছেন আর্জেন্টাইন কৌশলে।পেপ গার্দিওলার সঙ্গে মরিসিও পচেত্তিনো। লড়াইয়ের মঞ্চে আনকোরা নন দুজনের কেউই। সেটা হোক ফুটবলের জার্সি গায়ে, কিংবা ডাগ আউটে।ফুটবলার হিসেবে দুজনই খেলেছেন এক আসর, প্রিমেরা লিগে। ক্লাব দুটোও ছিল একই শহরের। গার্দিওলা বার্সেলোনায়, আর পচেত্তিনোর ক্লাব এস্পানিওল। খেলোয়াড়ি জীবন থেকে সেই যে লড়াইয়ের ভূত মাথায় চেপেছে এ দুজনের সেটা কাটেনি এখনো।ডাগ আউটেও দুজনের মুখ দেখাদেখির ইতিহাস বেশ পুরনো। ইপিএলে স্পারদের হয়ে ৫ বছরের সময়কালে গার্দিওলাকে অনেকবারই প্রতিপক্ষের জায়গায় পেয়েছেন পচেত্তিনো। যদিও সেখানে জয়মাল্য পড়ার লড়াইয়ে আর্জেন্টাইনকে হারিয়ে এগিয়ে আছেন স্প্যানিশ কোচ।এখন পর্যন্ত ১৮ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন তারা। যেখানে ১০ বার জয়ের আনন্দে ভেসেছেন পেপ এবং সাকল্যে তিনবার পচেত্তিনো। ট্রফি জয়ের মিশনেও যোজন এগিয়ে গার্দিওলা। স্পেন, জার্মানি, ইংল্যান্ড ঘুরে এখন পর্যন্ত ৩০টি শিরোপা শোকেসে পুড়েছেন এ স্প্যানিশ। যার মধ্যে ইউসিএল আছে ২টি।বিপরীতে মাত্র একটি শিরোপা আছে পচেত্তিনোর ম্যানেজারিয়াল ক্যারিয়ারে। সেটাও হালের ফরাসি সুপার কাপের। তার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলতে ১৪-১৫ মৌসুমে ইংলিশ লিগ কাপের রানার্স আপ আর ১৮/১৯-এর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রানার্সআপ।তবে, মজার ব্যাপার হচ্ছে গার্দিওলার ইউসিএল জেতার ইতিহাসগুলো বড্ড পুরনো। সেই বছর দশেক আগে। আর পচেত্তিনো তো মাত্রই যেন স্পারদের নিয়ে রূপকথার মিশন শেষ করলেন সেদিন। তাই আধুনিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হিসেবে মনস্তাত্ত্বিক ভাবে কিছুটা এগিয়েই থাকবেন আর্জেন্টাইন।প্রতিশোধের সুযোগ অবশ্য ছেড়ে দেবেন কি না পেপ, সেটা বলা যায় না। কারণ, স্পারদের নিয়ে পচেত্তিনোর ইউসিএল ফাইনালে উঠার গল্পটায় যে একটা চরিত্র ছিল সিটিজেনরাও। সে আসরের কোয়ার্টারে ম্যান সিটিকেই হারিয়েছিল টটেনহাম।যদিও নতুন এ লড়াইয়ের আগে পুরনো সে ঝাঁজ নিয়ে ভাবতে চান না দুই কোচের কেউই। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে একে অপরের প্রতি মুগ্ধতাই ঝরিয়েছেন দুজন।
প্রতিশোধ চান গার্দিওলা, পচেত্তিনো পুনরাবৃত্তি
0
Share.