ঢাকা অফিস: ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, কেউ অবৈধভাবে সুবিধা নিতে চাইলে, মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যেক ট্রাফিকের গায়ে ক্যামেরা লাগানো থাকবে। মামলা দেওয়ার সময় ছবি না তোলা থাকলে সেই ট্রাফিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার বাংলাদেশ সময় সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ নিয়ে মিডিয়া ব্রিফিংকালে ডিএমপি কমিশনার একথা জানান। ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইন কার্যকরের আগে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করেছে ডিএমপি। সচেতন করা হচ্ছে, প্রচারণা চালানো হচ্ছে, লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মামলা-জরিমানার নতুন পদ্ধতি কার্যকর করা হবে। ‘নতুন আইনে সাজা বাড়ানো হয়েছে। সাজার ভয়ে আইন মানবে মানুষ। চালকদের পয়েন্ট সিস্টেম রাখা হয়েছে। চালকদের পয়েন্ট কমতে থাকলে একটা পর্যায় লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। সেই চালক আর পরে লাইসেন্স নিতে পারবেন না।’ তিনি বলেন, আইন পুরোদমে বাস্তবায়ন শুরু হলে সড়কের ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সব মামলা সার্ভারে জমা হবে। ট্রাফিকের কেউ আইন অমান্য করলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথমবার কেউ অমান্য করলে অল্প জরিমানা করা হবে। পরেরবার তাকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে লিফলেটও দেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেসব সড়কে ফুটওভার ব্রিজ নেই সেখানে পথচারীদের সড়ক পারাপারে সহযোগিতা করবে ট্রাফিক পুলিশ। আর যেসব সড়কের ফুটওভার ব্রিজ আছে সেখানে ব্রিজ ব্যবহার না করা হলে পথচারীদের শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রত্যেক ট্রাফিকের গায়ে ক্যামেরা লাগানো থাকবে: শফিকুল ইসলাম
0
Share.