সোমবার, ডিসেম্বর ২৩

প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মুকুট উঠলো বাংলাদেশি যুবাদের মাথায়

0

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মুকুট উঠলো বাংলাদেশি যুবাদের মাথায়। ২০২০ সালে যুব ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পর আরও একবার দেশের ক্রিকেটের মাথা উঁচু করলো অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। আজ রোববার দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়ার সেরা হয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল। চার বছর আগে ২০১৯ সালেই এশিয়া সেরা হওয়ার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। তবে কলম্বোতে ভারতের কাছে মাত্র ৫ রানের হারে স্বপ্নপূরণ হয়নি জুনিয়র টাইগারদের। এবার সেই ভারতকে সেমিফাইনালে হারিয়ে এসে আজ আরব আমিরাতকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে মারুফ-বর্শনরা। রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়ে মেতেছে এশিয়ার সেরা হওয়ার উদযাপনে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরি এবং চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আরিফুল ইসলামের ফিফটিতে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে জুনিয়র টাইগাররা স্কোরবোর্ডে তোলে ২৮২ রান। সেই রান তাড়ায় নেমে মাত্র ৮৭ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত। বড় রান তাড়ায় নেমে ১২ রানের প্রথম উইকেট হারায় আরব আমিরাত। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। বাংলাদেশের হয়ে দারুণ বোলিং করেন মারুফ মৃধা, ইকবাল হোসেন ইমন এবং রোহানাত দুল্লাহ বর্ষণ। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ধ্রুব পারাশার। এছাড়া দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছেন কেবল ওপেনার অক্ষত রাই। মারুফ নেন ৩ উইকেট। ৩ উইকেট পেয়েছেন বর্ষণও। ইমন ও জীবনের পকেটে গেছে একটি করে উইকেট। এর আগে, ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার জিশান ইসলাম (৭) বিদায় নেন দ্রুতই। কিন্তু এরপর ১২৫ রানের জুটি গড়ে মোড় বদলে দেন শিবলি এবং চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। রিজওয়ান ৭১ বলে ৬০ রান করে বিদায় নিলেও চাপে পড়েনি বাংলাদেশ। কারণ এরপর ফের আরিফুল ইসলামকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি জুটি গড়েন শিবলি। এর মাঝেই আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। অন্যপ্রান্তে আরিফুল হকও রানের চাকা সচল রাখতে দারুণ ভূমিকা রাখেন। ব্যাট হাতে দৃষ্টিনন্দন কিছু শট খেলে তিনি তুলে নেন ফিফটিও। ব্যক্তিগত ফিফটির পর অবশ্য টিকতে পারেননি আরিফুল। ৪০ বলে ৬ চারে সাজানো এই ইনিংসটি শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের রানরেট ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু তার বিদায়ের পর দ্রুত আরেকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ বলে ৫ রান করে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন আহরার আমিন। মোহাম্মদ শিহাব জেমসও (৩) পারেননি দাঁড়াতে। তবে অপরপ্রান্তে অটল থাকেন শিবলি। যদিও স্ট্রাইকরেট তুলনামূলক কম ছিল তার, তবে শেষদিকে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি মাত্র ১১ বলে ২ ছক্কা ১ চারে ২১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে রানের গতি ঠিক রাখেন। শেষ ওভারে অবশ্য বেশি রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। উইকেটও হারিয়েছে ৩টি। আমিরাতের পেসার আয়মান আহামেদের করা ওভারের দ্বিতীয় বলেই লং অনে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটার রাব্বি। পঞ্চম বলে একই পথ ধরেন শিবলি। ১৪৯ বলে ১২৯ রানের ইনিংসটি খেলার পথে ১২টি চার ও ১ ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার। ওভারের শেষ বলে অষ্টম উইকেট হিসেবে বিদায় নেন রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ। ৮ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮২ রান। বল হাতে আমিরাতের আয়মান তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া ওমিদ রহমান ২টি এবং হার্দিক পাই ও ধ্রুব পারাশার ১টি করে উইকেট নেন।

Share.