শনিবার, নভেম্বর ২৩

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ঋষি ও বরিস

0

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বরিস জনসনের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। তবে এই মুহূর্তে কনজারভেটিভ এমপিদের সমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। প্রতিযোগিতায় রয়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মর্ডান্টও। লিজ ট্রাসের উত্তরসূরী হতে আগ্রহী হওয়ার বিষয়ে সবার আগে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন মর্ডান্ট। এ পর্যন্ত চারজন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কাজ করেছেন ৪৯ বছর বয়সী এ নেতা। জনসনের প্রশাসনের কেলেঙ্কারি থেকেও যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) কনজারভেটিভ পার্টি প্রধান হওয়ার প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মর্ডান্ট। কয়েক মাস আগে দলীয় এমপিদের সমর্থনে পিছিয়ে পড়ায় প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ওই নির্বাচনে শেষপর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনাক। মর্ডান্ট প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেও এবার নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বরিস এবং তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী ঋষির মধ্যে। অর্থাৎ এবারও তৃতীয় অবস্থানে থেকেই বিদায় নিতে হতে পারে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বর্তমানে কনজারভেটিভদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আগাম নির্বাচনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের। তবে জনমত জরিপ বলছে, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে তাতে রীতিমতো ভরাডুবি হতো ক্ষমতাসীনদের। এ অবস্থায় কনজারভেটিভ পার্টি আশা করছে, নতুন নেতার হাত ধরেই হয়তো তাদের ভাগ্য ফিরবে। কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী প্রধান হবেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে গত ছয় বছরের মধ্যে পাঁচজন দেশটির সরকারপ্রধানের চেয়ারে বসতে চলেছেন। অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্কের জেরে গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তার উত্তরসূরী ঘোষণা হবে এ সপ্তাহের মধ্যেই। তবে নতুন নিয়ম অনুসারে, কনজারভেটিভ পার্টি প্রধানের পদে প্রতিযোগিতার জন্য অন্তত ১০০ জন দলীয় এমপির সমর্থন থাকতে হবে। আর তা জোগাড় করতে হবে আগামী সোমবারের (২৪ অক্টোবর) মধ্যে।

Share.