বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬

প্রবাসীরা যেভাবে ভোটার হবেন

0

ডেস্ক রিপোর্ট: বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা আগামী রবিবার (১৩ অক্টোবর) থেকে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রর জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র করতে পারবেন। ভিডিও কনফরেন্সের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করবে নির্বাচন কশিমশন। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে চারটি দেশে অবস্থিত নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যুক্তরাজ্য, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরবের প্রবাসীরা এই সুযোগ পাবেন। আগামী রবিবার (১৩ অক্টোবর) কিংবা মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রবাসেব ভোটার করে সেখানেই জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতির প্রয়োজন হয়। আমরা বিভিন্ন দেশে সার্ভের করার পর সিঙ্গাপুরকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু দেশটির সরকার এখনও অনুমতি দেয়নি। তাই অনলাইনেই কার্যক্রম শুরু করব। তিনি বলেন, ‘এই চার দেশের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় অবস্থানরত প্রবাসীরা এই সুযোগ পাবেন। এজন্য প্রচারণাও চালানো হবে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কার্যক্রমের উদ্বোধন করব।’ এনআইডি অনুবিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুই প্রক্রিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করে নেওয়া হবে। প্রথম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে একটি আলাদা সার্ভার বসাবে নির্বাচন কমিশন। যে সার্ভারটি ইসির ওয়েবসাইটে আলাদা লিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে। প্রবাসী নাগরিক সংশ্লিষ্ট দেশে বসেই সেই লিংকে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় সব কাগজ/দলিলাদি আপলোড করে এবং ফরম পূরণ করে আবেদন সম্পন্ন করবেন। সেই আবেদনটি পরবর্তীতে আবেদনকারীর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে। তদন্তে ইতিবাচক প্রতিবেদন আসলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হবে। এরপর দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশেই বসানো হবে ইসির নিবন্ধন কেন্দ্র। যেখান থেকে বিতরণ করা হবে স্মার্টকার্ড বা এনআইডি। আবেদনকারী স্মার্টাকার্ড নেওয়ার সময় আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি দেবেন। দ্বিতীয় প্রক্রিয়ায় প্রবাসীদের ভোটার করে নেওয়া বলতে অফলাইনে আবেদনের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অনলাইনের আবেদন সংগ্রহের পর কোনো দেশে যখন নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করে নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রাখবে নির্বাচন কমিশন। তখন সংশ্লিষ্ট নাগরিককে ওই কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজ/দলিলাদি সরবরাহ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় যাওয়ার জন্যই নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতির পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। যেভাবে ভোটার হবেন প্রবাসীরা: প্রবাসীদের ভোটার করার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। পাশাপাশি অনলাইনে ভোটার হওয়ার ফরম ছাড়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই ফরম পূরণ করবেন ভোটারযোগ্যরা। অনলাইনের ফরমগুলো দেশের বিভিন্ন উপজেলা অফিসের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হবে। অনলাইনে পূরণকৃত ফরমের তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীদের ছবি, আইরিশ ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নিবেন ইসির ৫ সদস্যের একটি টীম। যারা অনলাইনে ফরম পূরণ করতে ব্যর্থ হবেন, তাদেরকে তাৎক্ষণিক ভোটার করার জন্য ফরম দেয়া হবে। ওই ফরমগুলো ইসির নির্ধারিত বিশেষজ্ঞ টীমের সদস্যরা প্রবাসীদের সব ডকুমেন্টস দেশে সংশ্লিষ্ট (স্থায়ী ঠিকানায়) উপজেলা নির্বাচন অফিসে অনলাইনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেবেন। প্রবাসীদের জন্য যে ভোটার ফরম তৈরি করা হয়েছে তাতে তিনটি ঠিকানা লেখার অপশন রাখা হয়েছে। ফরমে থাকবে দেশের স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা এবং যে দেশে ভোটার হবেন, সেই দেশে অবস্থানের ঠিকানা। বাংলাদেশের মতো কয়েকটি নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে বায়োমেট্রিক দিয়ে আসতে পারবেন প্রবাসীরা। এরপর নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করবে। এনআইডিগুলো ছাপিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসে পাঠানো হবে। ওই দূতাবাস থেকে প্রবাসীরা তাদের স্মার্ট এনআইডি সংগ্রহ করতে পারবেন।

Share.