ডেস্ক রিপোর্ট: পেরুর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলিও। গত ২৮ জুলাই তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন।পেদ্রো একটি গ্রামে খুব গরিব ঘরে জন্মেছিলেন। তার বাবার কৃষিকাজে তিনি সহযোগিতা করতেন। তিনি দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে হেঁটে স্কুলে যেতেন।পড়াশোনা করে তিনি পরবর্তীতে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হন। টানা ২৫ বছর তিনি শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি একটি শিক্ষক ইউনিয়নের নেতা ছিলেন।এ বছর তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন এবং গ্রাম ভোটারদের থেকে সিংহভাগ ভোট লাভ করেন।তার প্রচারণার স্লোগান ছিল, ধনী দেশে আর কখনো দরিদ্র মানুষ হবে না! কারণ তিনি পেরুবাসীদের সংগ্রাম ও হতাশার কথা প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, আমি জানি একটি স্কুলে ঝাড়ু দেওয়া কী।পেদ্রো স্কুলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবেও কাজ করেছিলেন। তিনি নিজেকে মানুষের জন্য নিবেদিত ঘোষণা করেছেন।২০০২ সালে মেয়র পদে নির্বাচন করেছিলেন পেদ্রো। কিন্তু সে সময় হেরে যান তিনি।পেদ্রো আলোচনায় আসেন ২০১৭ সালে। পেশাগত ইউনিয়নের নেতা হওয়ার সুবিধার্থে স্কুলশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য দাবিতে ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেন।ধনী-গরিব ও গ্রাম-শহরের বৈষম্য, প্রতিনিধিত্বকারীর অভাব, অস্বীকৃতি ও অসঙ্গতি ইত্যাদি বিষয় পেদ্রোকে মূলধারার রাজনীতিতে আসতে প্রভাবিত করে।২০২১ সালে প্রায় দেড় ডজন প্রার্থীকে টপকে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদ দখলে নেন পেদ্রো। তিনি কৃষকের মাথাল পরে প্রচারে অংশ নেন। শহরাঞ্চলে তিনি অচেনা হলেও তার নির্বাচনী প্রচার সবার দৃষ্টি কাড়ে।পেদ্রোর বড় প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক প্রেসিডেন্টের কন্যা কিকোর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। একসময় কিকো ফার্স্ট লেডির দায়িত্বও পালনও করেছেন।গত ৬ জুন দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। ১৫ জুন ভোট গণনা শেষে পেদ্রো পান ৫০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট। কিকো পান ৪৯ শতাংশের কিছু বেশি।কিন্তু পরাজয় মানতে নারাজ হন কিকো। প্রায় দেড় মাস পর্যালোচনার পর গত ১৯ জুলাই চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। সেই ফল অনুযায়ী, কিকো ৪৪ হাজার ভোটে হারেন।
প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক যখন প্রেসিডেন্ট
0
Share.