বুধবার, ডিসেম্বর ২৫

প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে শুরু বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপন

0

ঢাকা অফিস: ‘জাগো, জাগো পৃথিবী, ঈশ্বরকে স্বাগত জানাও’ ভক্তিমূলক সঙ্গীতের মাধ্যমে চার্চের প্রার্থনা ঘরে প্রবেশ করে ক্যারল। এসময় সঙ্গে ছিলেন ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু ও বাংলাদেশের কার্ডিন্যাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও। গানের সঙ্গে ধূপের ধোঁয়া নিয়ে ক্যারল প্রার্থনা ঘরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সবাই দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানায়। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে তেজগাঁও ক্যাথলিক চার্চে অনুষ্ঠিত হয় বড়দিনের প্রার্থনা। এরপর কার্ডিন্যাল ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন। প্রার্থনায় তিনি বলেন, ‘আমরা এসেছি প্রভুকে দেখতে। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করতে এই খ্রিষ্ট জাগের মধ্যে দিয়ে। এসো,আমাদের অযোগ্যতা স্বীকার করি। অযোগ্যতা আছে আমাদের দেশ, পৃথিবীর, সমাজের। অযোগ্যতা আছে ব্যক্তি জীবনে, আছে পারিবারিক জীবনে। সবকিছু এই গোসালার ন্যায় অনুভব করে প্রভু পরমেশ্বরের ভালোবাসা গ্রহণ করি, প্রভু যিশুকে আমাদের ঘরে স্থান দিয়ে। তারই আগমনে হবে সব পাপের ক্ষমা।’ এরপর সবাই মিলে পাপ মোচনের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এদিকে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় একটি প্রার্থনা হয়েছে, আরেকটি প্রার্থনা হয়েছে বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায়। সকাল থেকেই তেজগাঁও ক্যাথলিক চার্চের বাইরে ছিল দীর্ঘ সারি। এসময় সবাইকে লাইন ধরে চার্চের ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মঙ্গলবার পৃথক বাণীতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম, আচার ও অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্য আরো সুদৃঢ় করতে ধর্ম- বর্ণ-নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সবাই মিলে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। তাই এই দেশ আমাদের সবার। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার-এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে উৎসব পালন করব।

Share.